আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার মাসকয়েক আগে তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে দায়িত্ব পেয়েই তৎপরতা দেখিয়ে গোটা আলিপুরদুয়ার-১ অঞ্চলের সংগঠনের চেহারাই বদলে দিয়েছেন জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি মনোরঞ্জন দে। তাঁর নেতৃত্বে বিগত দু’মাসে ওই অঞ্চলের একাধিক বুথে মিটিং হয়েছে। সেখানে বুথভিত্তিক কর্মীসভাতেও উপচে পড়ছে ভিড়। তৃণমূলের সংগঠন মজবুত করার পাশাপাশি তাঁর নেতৃত্বেই ওই এলাকার বিজেপির ঘরেও ভাঙন ধরছে অহরহ। উল্লেখ্য, মনোরঞ্জন দে-র কেরামতিতেই ফালাকাটায় উপনির্বাচনে তৃণমূলকে কয়েক কদম এগিয়ে রাখছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
তবে শুধুই দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করা নয়। এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের আকাঙ্ক্ষা পূরণেও তাঁর জুড়ি মেলা ভার! মূলত তাঁর কৃতিত্বেই আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লকের বিবেকানন্দ ২নং অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের ইচ্ছাপূরণ হল। মূলত, এই অঞ্চলটির চতুর্দিক ঘন জঙ্গলে ঘেরা। যার ফলে সন্ধ্যা হলেই মানুষ এবং যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণ মানুষের দাবি মেনে সেখানে গিয়ে মনোরঞ্জন দে কিছুদিন আগেই কথা দিয়েছিলেন, খুব শীঘ্রই সেখানে রাস্তায় আলো লাগানোর বন্দোবস্ত করা হবে।
আর যেমন কথা, তেমনই কাজ। দুর্গাপুজো মিটতেই গতকাল সেই গ্রামে হাই মাস্ট টাওয়ারের উদ্বোধন করলেন তিনি। অঞ্চলের কাছের নেতা তাঁদের স্বপ্নপূরণ করায় খুশি হয়েছেন এলাকাবাসীরাও। রাস্তায় আলো জ্বলায় তাঁরা ভীষণই আনন্দিত। তাঁদের মধ্যেই একজন বললেন, “মনা দা যাই বলেন, তাই করে দেখান। আমরা ওঁকে কাছে পেয়ে ভীষণ খুশি।” তবে এলাকাবাসী তাঁর নামে জয়ধ্বনি দিলেও আনন্দে ভাসতে নারাজ মনোরঞ্জন দে। তিনি বলেন, “মমতা’দির অনুপ্রেরণায় আমি কাজ করার উৎসাহ পাই। ওঁর দেখানো রাস্তাতেই আমি হেঁটেছি। এখন শুধু রাজ্যের শহর এলাকা নয়, বাংলার গ্রামগুলিও আলোকিত হবে।”