শেষ ম্যাচ হেরে নাইট শিবির একেবারেই স্বস্তিতে নেই। সকালেই দলের প্রত্যেকের সঙ্গে বৈঠক করেন অধিনায়ক অইন মর্গ্যান। বুঝিয়ে দেন, এই পরিস্থিতি থেকে প্লে-অফে যাওয়ার স্বপ্ন কঠিন। যদি নাইটদের সঙ্গে পাঞ্জাব ও হায়দরাবাদের পয়েন্ট সমানও হয়, তা হলেও আশা কম কারণ নেট রানরেটের দিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে কেকেআর। বর্তমানে তাদের নেট রানরেট -০.৪৬৭। এক ম্যাচ বাকি থাকতে এই নেট রানরেট আদৌ কতটা বাড়ানো সম্ভব, সেটাই প্রশ্ন। রবিবার তাদের প্রতিপক্ষ রাজস্থান রয়্যালস। স্টিভ স্মিথের দলকে শুধু হারালেই চলবে না, হয়তো হারাতে হবে বিশাল ব্যবধানে। তার পরেও তাকিয়ে থাকতে হবে সানরাইজ়ার্স হায়দ্রাবাদ ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের দিকে। তারা হারলে একমাত্র তখনই রাস্তা কিছুটা পরিষ্কার হতে পারে নাইটদের সামনে।
হাসির কথায়, ‘‘আমাদের একটি গ্রুপ ম্যাচ বাকি। কথা দিলাম, শেষ ম্যাচে আমাদের ক্রিকেটারেরা প্রাণ খুলে খেলবে। কেউ বলতে পারে না, ক্রিকেটে কখন কী ঘটে। হয়তো এমন কিছু ঘটল, যাতে প্রত্যেকটি দল চমকে গেল।’’ যোগ করেন, ‘‘চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে এই হার সত্যি বেদনাদায়ক। কিন্তু ওদের কৃতিত্বকে ছোট করা উচিত না। এই ম্যাচে ওদেরই জয় প্রাপ্য ছিল।’’
কেকেআরের মেন্টর ডেভিড হাসি মনে করেন, নাইটদের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী দলের প্রত্যেকেই। বৃহস্পতিবার ম্যাচ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘দলের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী প্রত্যেকে। আমরাই দলকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছি।’’ যদিও হাসির বিশ্বাস, এখনই সব আশা শেষ হয়ে যায়নি। শেষ ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে বাকি অসম্ভবকে সম্ভব করার ক্ষমতা না কি আছে তাঁদের।