বিয়ের এক মাস আগে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন এক মহিলা। তারপর থেকেই হুমকি পাচ্ছিলেন। তাই আদালতের দ্বারস্থ হন স্বামী-স্ত্রী। পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু সেই আবেদন এলাহাবাদ হাই কোর্ট খারিজ করে দেয়৷ কারন কোর্ট মনে করে মুসলিম মহিলা শুধু বিয়ে করবেন বলেই হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। যা মোটেও আদালতের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
বিচারপতি মহেশচন্দ্র ত্রিপাঠির কথায়, ওই মহিলা বিয়ের এক মাস আগে ধর্মান্তরিত হন। অর্থাৎ রূপান্তরটি কেবল বিয়ের উদ্দেশ্যে হয়েছিল। বিচারপতি ত্রিপাঠি ২০১৪ সালের এলাহাবাদ হাই কোর্টের একটি রায় উল্লেখ করেন। যেখানে আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল যে, কেবল বিয়ের জন্য ধর্মান্তকরণ গ্রহণযোগ্য নয়। তাই সংবিধানের ২২৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করবে না আদালত।
২০১৪ তে আদালত বলেছিল, ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্য না হয়ে যদি নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে কেউ ধর্মান্তরিত হন, তাহলে সেই রূপান্তর বৈধ হতে পারে না। উল্লেখ্য, ২০১৪’য় একইভাবে পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে একাধিক আবেদন করেছিল এক দম্পতি। সেবারে এক মহিলা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ‘নিকাহ’ করেন। আদালত তার রায়ে বলেছিল, ‘ইসলাম সম্পর্কে কোনও জ্ঞান না থাকা বা ইসলামে বিশ্বাস না থাকা সত্ত্বেও কোনও মুসলিম ছেলের কথায় কোনও হিন্দু মেয়ের বিয়ের জন্য ধর্মান্তরিত হওয়া বৈধ হবে না।