অক্টোবরের শুরু থেকেই লাগাম পড়েছে দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পাশাপাশি দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও ১ হাজারের কম হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিগত কয়েকদিনে বেড়েছে সুস্থ রোগীর সংখ্যাও। যার ফলে বেড়েছে সুস্থতার হারও। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৮ হাজার ২৬৮ জন। এ দিনের আক্রান্তের সংখ্যা মিলিয়ে সারা দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৮১ লক্ষ ৩৭ হাজার ১১৯ জন। পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৫৫১ জনের। যার ফলে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,২১,৬৪১। ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বেড়ে হয়েছে ৪.৫২ শতাংশ।
প্রথম থেকেই ভারতের কোভিড পরিসংখ্যানের শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। দেশে কোভিড সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায় থেকেই মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্ত এবং কোভিড সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মহারাষ্ট্রে এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৬,৬৬,৬৬৮। মৃত্যু হয়েছে মোট ৪৩,৭১০ জনের। সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১৪,৯৪,৮০৯ জন। মহারাষ্ট্রে অ্যাকটিভ রোগী ১,২৮,১৪৯ জন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অন্ধ্রপ্রদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮,১৭,৬৭৩। মৃত্যু হয়েছে ৬৬৫৯ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭,৮৪,৭৫২ জন। অ্যাকটিভ কেস ২৬,২৬৮। তৃতীয় স্থানে থাকা কর্ণাটকে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৮,১৬,৮০৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ১১,০৯১ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭,৪১,২১৯ জন। অ্যাকটিভ কেস ৬৪,৪৯৯।
চতুর্থ স্থানে থাকা তামিলনাড়ুতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭,১৯,৪০৩। মৃত্যু হয়েছে ১১,০৫৩ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৬,৮৩,৪৬৪ জন। অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ২৪,৮৮৬। পঞ্চম স্থানে থাকা উত্তরপ্রদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৭৭,৮৯৫। মৃত্যু হয়েছে ৬৯৮৩ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৪,৪৬,০৫৪ জনের। অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ২৪,৮৫৮। ষষ্ঠ স্থানে থাকা রাজধানী শহর দিল্লীতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৭৫,৭৫৩। মৃত ৬৪২৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩,৩৮,৩৭৮ জন। অ্যাকটিভ কেস ৩০,৯৫২। তবে আশার আলো দেখাচ্ছে সুস্থতার হারের বৃদ্ধি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৫৯ হাজার ৪৫৪ জন। মোট সুস্থ ৭৪ লক্ষ ৩২ হাজার ৮২৯ জন। দেশে এখন সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ৮২ হাজার ৬৪৯ জন। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯১.৩৪ শতাংশ।