মরার ওপর খাঁড়ার ঘা-এর মতো করোনা অতিমারি মন্দার কোপে ভোগা অর্থনীতিকে যে ধাক্কা দিয়েছে এবং তা সামলাতে সরকারকে যে ভাবে খরচ বাড়াতে হয়েছে, তাতে চলতি অর্থবর্ষে কেন্দ্র ও রাজ্যের মিলিত রাজকোষ ঘাটতি ১৩ শতাংশ ছাপাতে পারে বলে জানাচ্ছে ডিবিএস-এর সমীক্ষা। সেখানে বলা হয়েছে, ঘাটতি পোষাতে গিয়ে সরকারি ঋণও ৮০ শতাংশ পার করতে পারে। করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে দীর্ঘ লকডাউনে কার্যত থমকে গিয়েছিল অর্থনীতি। এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে জিডিপি ২৩.৯ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়েছিল। ডিবিএস বলছে, এই অবস্থা থেকে অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে সরকারি খরচ বৃদ্ধি এবং কর সংগ্রহে ভাটার ফলেই ঘাটতি চড়তে পারে। গত অর্থবর্ষে যা ছিল প্রায় ৭ শতাংশ।
শুধু ভারত নয়। অনিশ্চয়তার দোলাচল বাকি বিশ্বেও। জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে অপ্রত্যাশিত ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইউরো অঞ্চলের অর্থনীতি। জিডিপি বৃদ্ধির হার ১২.৭ শতাংশ। ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের রিপোর্ট বলছে, ফলে এ বছর এই অঞ্চলের জিডিপি সঙ্কোচন আগের আশঙ্কার চেয়ে কিছুটা কমতে পারে। আবার আমেরিকা জানিয়েছে, ওই সময়ে গত বছরের চেয়ে জিডিপি ৩৩.১ শতাংশ বেড়েছে। তবে, ইউরোপের একাংশে অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। যার জেরে কিছু দেশে ফের লকডাউন শুরু হয়েছে। ফলে অর্থনীতির ওপরে তার বিরূপ প্রভাব পড়বে কি না, তা বুঝতে কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে। অন্যদিকে, উৎসবের মরশুমের পরে ভারতেও অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে কি না, তা সময়ই বলবে।