এ যেন মগের মুলুক! সরকারের তরফে দেখানো হয়নি নিয়োগের কারণ, অথচ রাতারাতি ইনফরমেশন কমিশনের শীর্ষ পদে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে দু’জনকে! এ নিয়েই এবার কেন্দ্রের বিরোধিতায় সরব হল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই এ সম্পর্কে ‘ডিসেন্ট নোট’ পাঠিয়েছে হাত শিবির। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি প্যানেল ইনফরমেশন কমিশনারদের নিয়োগ করে। সরকারি সূত্রে খবর, অবসরপ্রাপ্ত ফরেন সার্ভিস অফিসার যশবর্ধন কুমার সিনহা ভারতের নতুন ইনফরমেশন কমিশনার হতে চলেছেন। নতুন ইনফরমেশন কমিশনার হতে পারেন সাংবাদিক উদয় মাহুরকর। এই দু’টি নাম নিয়েই আপত্তি আছে কংগ্রেসের।
এদিকে সরকারি সূত্রে খবর, রাষ্ট্রপতি ভবন সম্ভবত শীঘ্রই দু’জনের নাম ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। তারপরে ডিপার্টমেন্ট অব পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং থেকে ওই নিয়োগের কথা জানিয়ে গেজেট নোটিফিকেশন করা হবে। যশবর্ধন সিনহা একসময় ব্রিটেন ও শ্রীলঙ্কায় ভারতের দূত ছিলেন। চিফ ইনফরমেশন কমিশন হিসাবে তিনি কাজ করবেন ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত।
কংগ্রেসের বক্তব্য, উদয় মাহুরকরকে ‘আকাশ থেকে’ নিয়োগ করা হয়েছে। তাদের বক্তব্য, কেন ওই দু’জনকে নিয়োগ করা হচ্ছে, সরকার তার কোনও কারণ দেখায়নি। চিফ ইলেকশন কমিশনারের পদে ১৩৯ জন আবেদন করেছিলেন। ইলেকশন কমিশনারের পদে আবেদন করেছিলেন ৩৫৫ জন। মাহুরকর কোনও পদের জন্যই আবেদন করেননি। কিন্তু তাঁকে নিয়োগ করা হচ্ছে। কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরি বলেন, ‘মাহুরকর খোলাখুলি শাসক দলের সমর্থক।’ যশবর্ধন সিনহা সম্পর্কে অধীরের মন্তব্য, তাঁর দেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা নেই।
এর আগে ইনফরমেশন কমিশনারদের কাজের মেয়াদ কমানোর বিরোধিতা করেছিল কংগ্রেস। অক্টোবর মাসে
মোদী সরকার ঘোষণা করে, ইনফরমেশন কমিশনারদের কাজের মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে তিন বছর করা হবে। তার পরে আরটিআই অ্যাকটিভিস্টরা প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছিলেন, তথ্য কমিশনের স্বাধিকার খর্ব করা হচ্ছে। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীও বলেছিলেন, ঐতিহাসিক রাইট টু ইনফরমেশন আইনকে ধ্বংস করার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। কারণ তারা মনে করে, সংখ্যাগুরুর শাসন চাপিয়ে দিতে গেলে ওই আইন বাধা হয়ে দাঁড়াবে।