ইলিশে হয় হাজার রোগের প্রতিকার। এমনকি করোনাকে কাবু করতেও পারদর্শী এই রূপোলী শস্য। এমনটাই দেখা গেছে গবেষণায়। ক্যান্সার থেকে করোনা রোগ প্রতিরোধে অনবদ্য বাঙালির অতি প্রিয় ইলিশ। তবে ইলিশের মরশুমে ইতি পড়তে চলেছে। এখন এই মাছের প্রজননকাল শুরু হবে। ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশেই একটা লম্বা সময় ইলিশ ধরা যাবে না আগামী কয়েক মাস। পুষ্টিবিদরা বলছেন, মরশুমের শেষ ইলিশ পাতে উঠলে করোনার দিনে লড়াইয়ের ভরপুরপ আকর সংগ্রহ করা যাবে।
ডায়েটিশিয়ান প্রমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছিলেন, ইলিশে রয়েছে পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যসিড। ওজন ঠিক রাখে, ধমনীতে রক্তসংবহন স্বাভাবিক রাখে। এছাড়া এই পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডের কারণেই ডায়াবিটিস, হার্টের অসুখ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে আসে।
হৃদযন্ত্র, চোখ হাড়ের কাঠামো ঠিক রাখে ইলিশের মতো সামুদ্রিক মাছে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। মোনো ও পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট স্নায়ুর ক্ষয় রোধ করে। করোনার দিনে আয়রন, জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়ামের পুষ্টি পাতে তুলতে চাইলে এই মরশুমের শেষ ইলিশটি নিতেই হবে।
প্রসঙ্গত, এ বছর বাংলা দেশ থেকে দু’দফায় ইলিশ এসেছে কয়েকশো টন। সম্প্রতি ফারাক্কাতেও প্রচুর মাছ উঠেছে। ফলে বাজারে ইলিশ অনেকটাই সাধ্যের মধ্যে।