মুঙ্গেরের ঘটনাকে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ বলে মন্তব্য করলেন শিবসেনার নেতা সঞ্জয় রাউত। তিনি এদিন বলেছেন, ‘মুঙ্গেরে পুলিশের আক্রমণ আসলে হিন্দুদের ওপর হামলা। এই ধরনের ঘটনা মহারাষ্ট্র, বাংলা বা রাজস্থানে হলে এতক্ষণে রাজ্যপাল ও বিজেপির নেতারা রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলে দিতেন। কিন্তু বিহারের রাজ্যপাল, বিজেপি নেতারা একটা কথাও বলছেন না। এমনকী এই নিয়ে কোনো প্রশ্নও তুলছেন না।’
উল্লেখ্য, দুর্গা পুজোর বিসর্জনের সময় কিছু মানুষের উপর লাঠি নিয়ে চড়াও হয়েছিল বিহার পুলিস। নিরপরাধ মানুষদের ওপর নির্বিচারে লাঠি চার্জ করা হয়। চলে গুলিও। সেই ঘটনায় একজন কমবয়সী বাঙালি ছেলে প্রাণ হারায়। বহু মানুষ গুরুতর আহত হয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবারও বিহারের মুঙ্গের জেলায় উত্তেজনা বজায় ছিল। বেশ কিছু বিক্ষোভকারী পুলিসের গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। এমনকী পূরব সরাই থানা এবং এসপি অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তারা। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন মুঙ্গেরের জেলাশাসক রাজেশ মিনা ও এসপি লিপি সিংকে সরিয়ে দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যাপক পুলিস বাহিনী পাঠানো হয়েছে মুঙ্গেরে।
সেদিন পুলিসি অত্যাচারের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই বিহারের বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেছেন। এমনকী বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের সময় এই ঘটনা বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই ঘটনা নিয়ে নিন্দায় সরব হয়েছেন বহু মানুষ। পুলিসি বর্বরতার নিন্দা করার ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না কেউই।
রাষ্ট্রীয় জনতা দল নেতা তেজস্বী যাদব এবং লোক জনশক্তি পার্টির প্রেসিডেন্ট চিরাগ পাসোয়ান বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের প্রবল সমালোচনা করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, নীতীশ কুমারের প্রশাসন বিহারে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। মুঙ্গেরের ঘটনাকে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তুলনা করেছেন তেজস্বী যাদব। তাঁর প্রশ্ন, সেদিন যে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল তার নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না কেন!