এ যেন মগের মুলুক! যাঁর ‘শাস্তি’ পাওয়ার কথা ছিল, তাঁর কপালেই জুটল কিনা ‘পুরষ্কার’। হ্যাঁ, এক মহিলাকে হেনস্থা করার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে যাঁর বিরুদ্ধে, সেই তাঁকেই এইমসের বোর্ডে নিয়োগ করা হল! রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ছাত্র শাখা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের শীর্ষ স্থানীয় নেতা তথা ক্যানসার বিশেষজ্ঞকে মাদুরাই এইমসের বোর্ডে নিয়োগ করা নিয়ে সরগরম তামিলনাড়ুর রাজনীতি। অভিযোগ, লকডাউনের মধ্যে এক বৃদ্ধা মহিলাকে কদর্য ভাবে হেনস্থা করেছিলেন ডাক্তার সুব্বিআহ শানমুগাম।
জানা গিয়েছে, চেন্নাইয়ে যে আবাসনে এই চিকিত্সক তথা এবিভিপি নেতা সেখানেই তাঁর প্রতিবেশী বৃদ্ধার সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। গাড়ি পার্কিং নিয়ে বচসা শুরু হয়। অভিযোগ তারপর ওই বৃদ্ধাকে শায়েস্তা করতে তাঁর দরজার গোড়ায় এক গাদা ব্যবহার করা মাস্ক ফেলে দেন বিদ্যার্থী পরিষদ নেতা। শুধু তাই নয়, বৃদ্ধার দোরগোড়ায় প্রস্রাবও করে দেন বলে অভিযোগ। থানায় অভিযোগ করার পাশাপাশি ওই বৃদ্ধা গোটা ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সর্বভারতীয় সভাপতিকেও পাঠিয়েছেন বলে দাবি তাঁর।
কিন্তু দেখা গেল, বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রক একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শানমুগামকে মাদুরাই এইমসের বোর্ডে নিয়োগ করেছে। শানমুগামকে এইমসের বোর্ডে নিয়োগ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই বৃদ্ধা। রাজ্যের বিরোধী দলগুলিও এ নিয়ে ব্যাপক আক্রমণ শানিয়েছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। ভিসিকে সাংসদ আর রবিকুমার বলেছেন, এরপরও বলতে হবে কেন্দ্রীয় সরকার মহিলাদের সম্মান নিয়ে ভাবে? এইরকম একটা জঘন্য অপরাধ যিনি করেছেন তাকে কিনা পুরষ্কার! ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝির কটাক্ষ, এটা কি মহিলাদের প্রতি খুব সম্মান দেখানো হল?