এর আগে রামনবমীর মিছিল এবং খুব সম্প্রতি বিজেপির নবান্ন অভিযানের সময় অস্ত্র হাতে উল্লাস করতে দেখা গিয়েছিল গেরুয়া শিবিরকে। এবার সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটল। বিজয়া দশমীতে উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপি কার্যালয়ে অস্ত্রপুজো ও অস্ত্রনৃত্য ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। এক হাতে খড়্গ, অন্য হাতে তরোয়াল নিয়ে ওইদিন নেচেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী। তাঁর সঙ্গে অস্ত্রনৃত্যে অংশ নেন বিজেপির প্রবীণ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। অস্ত্র হাতে নাচেন মহিলা কর্মীরাও। বিজেপির পক্ষ থেকেই অস্ত্রপুজো এবং অস্ত্র হাতে ছবি পোস্ট করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
প্রসঙ্গত, প্রতিবারের মতো রায়গঞ্জ শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা মহাত্মা গান্ধী রোডের বিজেপি জেলা কার্যালয়ে এবারও আয়োজিত হয় দুর্গাপুজো। সোমবার দশমীর দিন দুর্গা প্রতিমার সামনে খড়্গ, তরোয়াল, হাঁসুয়া ইত্যাদি নানা ধারালো অস্ত্রের পুজো করা হয়। পরে অস্ত্রগুলি নিয়ে আসা হয় বিজেপি অফিসে। তারপরই হাতে অস্ত্র নিয়ে নৃত্যে মেতে ওঠেন বিশ্বজিৎ লাহিড়ী-সহ দলীয় নেতা-কর্মীরাও। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত থেকে জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। কড়া সমালোচনা করেছেন রায়গঞ্জের পুরপ্রধান, জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র সন্দীপ বিশ্বাস।
কানাইয়ালাল বলেন, ‘এটাই বিজেপির সংস্কৃতি। ওঁরা মানুষকে ভয় দেখাতে চায়।’ সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, ‘বিজেপি হিংসাশ্রয়ী দল। বাংলার মানুষ হিংসায় বিশ্বাসী নন। বাংলার মানুষকে ভয় দেখিয়ে কোনও লাভ নেই। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই আছেন।’ বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘প্রশাসন সতর্ক থাকলে বিজেপি অস্ত্র নিয়ে খেলা করতে পারত না। এত সাহস বিজেপি পেল কী করে? সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ছড়িয়ে পড়ায় মানুষ ভয় পেয়ে গেছে। প্রশাসনের উচিত কড়া ব্যবস্থা নেওয়া।’