দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই দেশের যুবাদের ২ কোটি টাকা চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তার কোনও প্রতিশ্রুতিই পূরণ করে উঠতে পারেননি মোদী। উল্টে বেকারত্ব বেড়েছে দেশে। বিহারে সেই সংখ্যা দ্বিগুণ। আর এই কর্মসংস্থানকে হাতিয়ার করেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণে শান দিতে শুরু করেছে বিরোধীরা। বুধবার বিহারে প্রচারে গিয়ে রাহুল গান্ধী ফের ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিঁধেছেন।
মোদীর মতো মিথ্যে বলতে পারব না। সরাসরি মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বিহারে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে রাহুল বলেছেন কংগ্রেস সরকার কৃষক, শ্রমিকদের জন্য সব কিছু করার চেষ্টা করেছে। তাঁদের যাতে ভাল হয় সেই প্রকল্প তৈরি করেছে। কিন্তু একটা কাজেই পিছিয়ে পড়েছে সেটা মিথ্যে। মোদী সরকারের মতো মিথ্যে বলার দক্ষতা কংগ্রেস সরকারের নেই বলে আক্রমণ শানিয়েছেন রাহুল।
দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীকে ২ কোটি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তার একটি প্রতিশ্রুতিও পূরণ করতে পারেননি। বেকারত্ব কমার চেয়ে বেড়েছে বেশি।বিহারে তার মাত্রা অনেকটাই বেশি। করোনা লকডাউন ঘোষণা করে পরিযায়ী শ্রমিকদের অবস্থা কঠিন করেছেন। কাজ হারিয়েছেন অসংখ্য শ্রমিক। তাই প্রচারে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে রাহুল বলেছেন এবার আর ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি তিনি দেবেন না কারণ সকলে বুঝে গিয়েছেন তাঁর চাল।
বাল্মীকি নগরে প্রচারে গিয়ে রাহুল অভিযোগ করেছেন মোদী সরকারের দুটি সিদ্ধান্ত দেশকে একেবারে নড়বড়ে করে দিয়েছে। একটি নোটবন্দী আর দ্বিতীয়টি লকডাউন। দুটি সিদ্ধান্তই দেশবাসীকে চরম দুর্দশার দিকে ঠেলে দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দেশের কৃষক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গুলি।
প্রথম থেকেই বিহারে পরিযায়ী শ্রমিকদের সংকটকে হাতিয়ার করেছে মহাজোট। করোনা লকডাউনে দেশের যে কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তাতে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। কাজ হারিয়ে চরম দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।