মেট্রো রেলের ক্ষেত্রে ই-পাশে ছাড় দেওয়া হয়েছে তাঁদের। অথচ উৎসব স্পেশ্যাল বা সাধারণ স্পেশ্যাল ট্রেনে প্রবীণদের জন্য কোনও ছাড় নেই। এর ফলে অভিযোগ উঠছে, প্রবীণ নাগরিকদের নিয়ে দু-মুখো নীতি নিয়েছে ভারতীয় রেল মন্ত্রক। সমালোচনার ঝড় বইছে রেলের এই দু’ধরনের নীতির জন্য।
প্রসঙ্গত, নিউ নর্মাল পরিস্থিতিতে কোনও দূরপাল্লার ট্রেনেই প্রবীণদের জন্য ছাড় নেই। সম্প্রতি উৎসব স্পেশ্যাল বলে ৩৯২টি ট্রেন চালু হয়েছে। এগুলি চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।
প্রতিটি ট্রেনেই ভাড়া সাধারণ ট্রেনের থেকে বেশি। সাধারণ কামরা নেই। ভাড়া বৃদ্ধি প্রসঙ্গে রেলের সাফাই, ‘ভাড়া বৃদ্ধির খবর সঠিক নয়। প্রতি বছরই উৎসবের সময় ভিড় বাড়লে ভাড়া বাড়ে। এবারও বেড়েছে।’ অথচ রেলকর্মীরাই বলছেন, সাধারণ সময়ের থেকে অনেক বেশি ভাড়া লাগছে। এমনকী, রেলকর্মীরা যে বিশেষ ছাড় পান সেটাও নাকি এখন পুরোপুরি মিলছে না।
অন্যদিকে, নিউ নর্মালে প্রবীণদের ছাড় তুলে দেওয়া প্রসঙ্গে রেল মন্ত্রক বলছে, প্রবীণরা যাতে বেশি সফর না করেন সেজন্যই এই বন্দোবস্ত। অর্থাৎ ছাড়ের সুবিধা দিয়ে প্রবীণদের রেল যাত্রায় উৎসাহিত করতে চান না তাঁরা। তবে একই মন্ত্রকের অধীন কলকাতা মেট্রো রেল প্রবীণদের জন্য ই-পাশ তুলে দিয়েছে। বয়সের প্রমাণ দেখিয়েই তাঁরা চড়তে পারেন মেট্রো। এ নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে প্রবীণ নাগরিকরা বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের আমলে প্রবীণরা বঞ্চনার শিকার। ব্যাঙ্কের সুদের হার কমিয়ে দিয়ে আমাদের বেঁচে থাকার অধিকারও কেড়ে নিতে চায়। সমস্ত সুবিধাই সঙ্কুচিত হচ্ছে।