এবার নিজেদের রাজ্যেই গরুর সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে নতুন প্রকল্প শুরু করল বিজেপি শাসিত ত্রিপুরা সরকার। আজ সেখানে ‘মুখ্যমন্ত্রী উন্নত গোধন প্রকল্পের’ সূচনা করেন বিপ্লব দেব। সূচনা অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় বিপ্লব দেবের দাবি, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ত্রিপুরায় একদিকে মিটবে গরুর দুধের চাহিদা। অন্যদিকে লক্ষাধিক কর্মসংস্থান তৈরি হবে। সূত্রের খবর, এই প্রকল্প শুরুর ফলে আর রাজস্থান, হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলি থেকে গরু নিয়ে আসার ঝক্কি পোহাবে না ত্রিপুরা সরকার। যদিও বিরোধীদের অনেকে টিপ্পনি কেটে বলছেন, আসলে বিজেপি সরকার চায় রাজ্যে গরুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাক। বৌদ্ধিক বিকাশ নষ্ট করে গরু বাড়ানোই ওদের উদ্দেশ্য।
উল্লেখ্য, কী ভাবে বাড়বে গরুর সংখ্যা? ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বীর্য প্রয়োগ করা হবে। তার ফলে বাইরে থেকে গরু আনতে হবে না। এর জন্য ত্রিপুরা সরকার পাঁচটি জেলার ২৩টি ব্লক এবং দুটি পৌর এলাকায় ১ লক্ষ ৫৬ হাজার গাভী চিহ্নিত করেছে বলেও জানান বিপ্লববাবু। মোট তিন লক্ষ ১২ হাজার ডোজ বীর্য প্রয়োগ করা হবে। খরচ হবে মোট ১৬ কোটি ১৯ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা। যার অধিকাংশটাই দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। বাদবাকি কিছুটা দেবে রাজ্য। যাঁর গরু, তাঁকে দিতে হবে ডোজ প্রতি ৫০ টাকা।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, বাইরে থেকে গাভী আনার ক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। পরিবহণ, শারীরিক অসুস্থতা-সহ নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই রাজ্য সরকার পরিকল্পনা করেছে বিজ্ঞানসম্মত ভাবেই রাজ্যের গাভীদের সিমেন প্রয়োগ করা হবে। তাঁর কথায়, “দেখা গিয়েছে, সিমেন প্রয়োগ করার ফলে যে বাছুরের জন্ম হয় তার মধ্যে ৯০-৯৫ শতাংশ স্ত্রীলিঙ্গের এবং তাদের দুধ দেওয়ার ক্ষমতাও বেশি।” তিনি আরও বলেন, “ত্রিপুরার মানুষ পাউডার দুধের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল। তার কারণ এখানে গোদুগ্ধ পর্যাপ্ত পরিমাণ পাওয়া যায় না। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সেই সঙ্কটও মিটতে চলেছে।”