জাতীয় রাজনীতিতে অনেকেই বলেন, দেশের বিরোধীরা সেভাবে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন না। যাঁরা বলেন বিরোধীরা ঘুমাচ্ছে, এবার তাঁদেরকে পাল্টা দিলেন জাতীয় রাজনীতির অন্যতম নামী সাংবাদিক ও সমাজকর্মী সাকেত গোখলে। তিনি বলেন, বিজেপির প্রতি ফেসবুকের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে সংসদে প্রথম সরব হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান জাতীয় মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনিই প্রথম বিজেপির হয়ে ফেসবুকের কাজ করার অভিযোগ এনেছিলেন।
তারপরই এই ঘটনার সংসদীয় তদন্তের জন্য চাপ দেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এতে প্রবল চাপে পড়ে কেন্দ্রের মোদী সরকার এবং অবশেষে শশী থারুরের নেতৃত্বে তৈরি হয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি। গত সপ্তাহে সেই যৌথ সংসদীয় কমিটির সামনেই হাজিরা দেন ফেসবুকের ভারতীয় শাখার প্রাক্তন পাবলিক পলিসি ডিরেক্টর আঁখি দাস। সেদিন তাঁকে ঘণ্টা দুয়েক ধরে জেরা করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এরপরই জানা গিয়েছে, বিজ্ঞাপন, ব্যবসা বা নির্বাচনের মতো বিষয়গুলির ক্ষেত্রে কোনও ধরনের অনুমানমূলক উদ্দেশ্যে ফেসবুক নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, হেট স্পিচ থেকে শুরু করে বিজেপির সুরে কথা বলার অভিযোগ, সব কিছু নিয়েই সেখানে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছিল ফেসবুক। এমনকি এই সংসদীয় কমিটি জম্মু কাশ্মীরে ইন্টারনেট শাটডাউন নিয়েও আলোচনা করেছে বলে শোনা যাচ্ছে। যেই ঘটনায় গোটা দেশেই বিরোধী দলগুলির চাপে পড়েছে বিজেপি।