কিছুদিন আগেই দিল্লীর সফদর জং হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে চার উচ্চবর্ণের ব্যক্তির হাতে গণধর্ষণের শিকার হওয়া হাথরসের দলিত মহিলা। যা নিয়ে এখনও তোলপাড় গোটা দেশ। প্রশ্নের মুখে উত্তরপ্রদেশের নারী সুরক্ষা। তবে তাতেও থেমে নেই যোগী রাজ্যে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা। এবার যেমন সেখানে ফের এক ঘটনায় মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সোমবার উত্তরপ্রদেশের মেরঠে একটি কবরস্থানের সামনে থেকে একটি পরিত্যক্ত বস্তা পায় পুলিশ। আর সেই পরিত্যক্ত বস্তার ভিতর থেকে মিলেছে মহিলার মুণ্ডহীন দেহ। আবর্জনার স্তূপে কেউ ওই বস্তাটি ফেলে দিয়ে যায়। রাস্তার কুকুর বস্তাটি নিয়ে কাড়াকাড়ি করার সময় মহিলার ধড়মুণ্ড বিচ্ছিন্ন দেহটি বেরিয়ে পড়ে। রাস্তার লোকজনের নজরে পড়লে, পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে। মহিলার মুণ্ডের সন্ধান না-মেলায়, পুলিশ এখনও পরিচয় জেনে উঠতে পারেনি। কাটা মুণ্ড উদ্ধারে আশপাশে সর্বত্র খোঁজ চলছে।
পুলিশের ধারণা, অন্য কোথাও খুন করে রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা মহিলার মৃতদেহটি বস্তায় ভরে ফেলে দিয়ে যায়। অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে, সোমবার রাত পর্যন্ত অপরাধীদের নাগাল পায়নি পুলিশ। মেরঠের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) অখিলেশ নারায়ণ সিং জানান, ফতেহউল্লাপুর মুসলিম কবরস্থানের পিছনে আবর্জনার স্তূপ থেকে মহিলার দেহটি পাওয়া যায়। এটি লিসারি গেট থানার অন্তর্গত। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, পরিচিত কারও হাতে খুন হয়েছেন ওই মহিলা। মৃতের পরিচয় গোপন রাখতেই তার শিরচ্ছেদ করে, মাথা অন্যত্র ফেলা হয়েছে। পথকুকুররা কাড়াকাড়ি করার সময় মৃতদেহ বস্তা থেকে বাইরে বেরিয়ে আসে। পুলিশের অনুমান, মহিলার বয়স তিরিশের আশপাশে হবে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় নতুন করে মুখ পুড়েছে যোগী সরকারের।