এবার লড়াইয়ের ময়দানটা মসৃন হবে না নীতীশের কাছে। ভোটের আগের জনমত সমীক্ষা যা হলেছে তাতে রীতিমত ঘুম ছুটেছে জেডিইউ-বিজেপি জোটের। মহাজোটের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বিশেষ করে জেডিইউ-র মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদবের জনপ্রিয়তা যেভাবে বাড়ছে তাতে চিন্তা বেড়েছে শাসকদলের। যদি মহাজোটের সব দলগুলি ভাল ফল করে তাহলে নীতীশের তখত উল্টে যেতে পারে এবার।
পরিযায়ী শ্রমিক অসন্তোষের রোষে ফুটছে বিহার। করোনার লকডাউন সিদ্ধান্তে বিহারের অসংখ্য শ্রমিক কাজ হারিয়ে দেশে ফিরে এসেছে। বিহার সরকার তাঁদের রোজগারের বন্দ্যোবস্ত করে দিতে পারেনি। নিরন্ন অসহায় মানুষগুলি খিদের আগুনে ফুটছে। আর এই ক্ষোভের বিহঃপ্রকাশ যদি ভোট বাক্সে হতে শুরু করে তাহলে নীতীশের গলি উল্টাতে বেশি সময় লাগবে না।
ভোটের প্রচারে গত কয়েক সপ্তাহে পারদ চড়িয়েছিল বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নীতীশ কুমারকে পাশে নিয়ে সভা করেছে। তাতে নীতীশের প্রশাংসায় একাধিক প্রতিশ্রুতি গিয়েছেন মোদী। অন্যদিকে পাল্টা রাহুল গান্ধীও সভা করেছেন। তাতে সিংহভাগ জুড়ে ছিলেন তেজস্বী যাদব। মহাজোটের হাত আরও শক্ত করেছেন তেজস্বী। অথচ কয়েকদিন আগে পর্যন্ত মহজোটের ভবিষ্যত নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধছিল।
যদি প্রচারের অভিমুখ অনুযায়ী ভোট বাক্সে প্রতিফলন ঘটে তাহলে এবার নীতীশের গদি উল্টে দিতে পারে মহাজোট। ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরেও যদি ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে নিজেদের মধ্যে কোনও বিরোধ তৈরি না করে কংগ্রেস এবং আরজেডি তাহলে এবার অনেকটাই শক্তিবৃদ্ধি ঘটবে মহাজোটের। বিহার শাসনের অধিকার হারাতে পারেন নীতীশ কুমার।
মহাজোটের তিনটি মূল দল বাম, কংগ্রেস এবং আরজেডি একজোট থাকার পরেও বড় ভূমিকা নিতে পারে রাম বিলাস পাসোয়ানের এলজেপি। প্রথম থেকেই নীতীশের বাড়তি গুরুত্ব নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন চিরাগ পাসোয়ান। প্রকাশ্যেই নীতীশের সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন তিনি। এবার চিরাগ যদি মহাজোটের পাশে এসে দাঁড়ায় তাহলে বিহারের রাজনীতিক সমীকরণের চিত্রটাই বদলে যাবে।