মোদী জমানায় গভীর সঙ্কটে পড়েছে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র। তা আজ অন্তঃসারশূন্য। অর্থনীতির সঙ্কট তো গভীরতর হয়েছেই, গণতন্ত্রের প্রতিটি স্তম্ভই পড়ে গিয়েছে বিপদে। প্রতিবাদীদের অবদমন ও নানা ভাবে হেনস্থার মাধ্যমে বাকস্বাধীনতার অধিকারকে খর্ব করা হচ্ছে। এক সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত তাঁর নিবন্ধে এমনটাই লিখেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
তিনি বলেন, মোদী জমানায় বিরোধী ও বিক্ষুব্ধদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ বা ‘জাতীয়তাবাদবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। সরকারবিরোধী যে কোনও পদক্ষেপকেই ‘জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক’ তকমা লাগিয়ে তার মুখ বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। মুখ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এই সবই করা হচ্ছে দৈনন্দিন সমস্যাগুলি থেকে মানুষের নজর অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য।
সোনিয়ার দাবি, সন্ত্রাসবাদ বা জাতীয়তাবাদবিরোধী সমস্যা মোকাবিলার জন্য যতটা আপসহীন হওয়া প্রয়োজন তার ছাপ মোদী সরকার ও বিজেপির কাজকর্মে দেখা যাচ্ছে না। বরং এনডিএ সরকার এবং বিজেপি বিরোধী যে কোনও রাজনৈতিক প্রতিবাদকেই চক্রান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতিবাদীদের মুখ বন্ধ করতে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন তদন্ত সংস্থাকে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বা তাঁদের সামাজিক ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। এই ভাবে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রকে অন্তঃসারশূন্য করে তোলা হচ্ছে।
তাঁর অভিযোগ, যত রকম ভাবে রাজনৈতিক বিরোধী, প্রতিবাদীদের হেনস্থা করা সম্ভব মোদী সরকার সেই সবই করে চলেছে। তার জন্য পুলিশকে কাজে লাগানো হচ্ছে। কাজে লাগানো হচ্ছে ইডি, সিবিআই, এনআইএ, এমনকী নারকোটিক্স ব্যুরোকেও। এরা সকলেই এখন চলছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অঙ্গুলিহেলনে। যে রাষ্ট্রযন্ত্রগুলিকে নাগরিকদের কল্যাণে কাজে লাগানো প্রয়োজন সেগুলিকেই উত্তরোত্তর আরও বেশি করে কাজে লাগানো হচ্ছে সরকার ও বিজেপির বিরোধীদের বিরুদ্ধে।