চাঁদের গহ্বরে জলের সন্ধান পেল নাসা-র স্ট্র্যাটোস্ফেরিক অবজার্ভেটরি ফর ইনফ্রারেড অ্যাস্ট্রোনমি (সোফিয়া)। এই আবিষ্কারের সূত্রে চাঁদের পিঠে ছায়াশীতল অংশ তো বটেই, গোটা উপগ্রহেই মাটির নীচে জলের অস্তিত্ব রয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেল।
নাসা জানিয়েছে, চাঁদের ক্ল্যাভিয়াস গহ্বরে জলের অণু (H2O) পাওয়া গিয়েছে। পৃথিবী থেকে এই ক্রেটার বা গহ্বরটি দৃশ্যমান। অতীতে চাঁদের ভূ-স্তরে হাইড্রোজেনের রূপান্তরিত নমুনা পাওয়া গেলেও বিজ্ঞানীরা জল বা তার কাছাকাছি কোনও যৌগের অণু খুঁজে পাননি। সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে চাঁদের পিঠের ওই অংশে মোটামুটি ১২ আউন্স পরিমাণ জল পাওয়া গিয়েছে।
সূর্যালোকের স্পর্শ পাওয়া চাঁদের অংশে জল পাওয়া আবিষ্কারটি নেচার অ্যাস্ট্রোনমি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তবে নাসা-র আর্তেমিস প্রকল্পে ২০২৪ সালে চাঁদে প্রথম এক নারী ও তার পরে এক পুরুষকে পরীক্ষামূলক বসবাসের জন্য পাঠানোর আগে চন্দ্রপৃষ্ঠে জলের অস্তিত্ব সম্পর্কে আরও তথ্য পেতে উদ্যোগী হয়েছে সংস্থা।
প্রসঙ্গত, চাঁদের পিঠে জলের যা পরিমাণ খুঁজে পেয়েছে সোফিয়া, তার ১০০ গুণ বেশি রয়েছে সাহারা মরুভূমিতে। তবু বাতাসহীন পরিমণ্ডলে রুক্ষ চন্দ্রস্তরের নীচে কী ভাবে জলের অস্তিত্ব টিকে রয়েছে, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে নতুন প্রশ্ন।