অক্টোবরের শুরু থেকেই লাগাম পড়েছে দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তিন মাসেরও বেশি সময় পর ভারতে দৈনিক সংক্রমণ ফের ৩০ হাজারের কোটায় নেমে এসেছে। চলতি মাসে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও ১ হাজারের কম হচ্ছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে সুস্থ রোগীর সংখ্যাও। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৬ হাজার ৪৭০ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। যার জেরে ভারতে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ৭৯ লক্ষ ৪৬ হাজার ৪২৯। গত ১৮ জুলাইয়ের পর এই প্রথম দৈনিক সংক্রমণ এত নীচে নামল। আবার দৈনিক সংক্রমণ কম হওয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হারও কমে ৩.৮১ শতাংশ হয়েছে, এক দিন আগেই যা ৪.৮১ শতাংশ ছিল।
সংক্রমণ এবং মৃত্যুর নিরিখে দেশের মধ্যে শুরু থেকেই শীর্ষে মহারাষ্ট্র। সেখানে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ১৬ লক্ষ ৪৮ হাজার ৬৬৫। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৪ লক্ষ ৭০ হাজার ৬৬০ জন রোগী। করোনার প্রকোপে সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৩ হাজার ৩৪৮ জন। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা অন্ধ্রপ্রদেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ৮ লক্ষ ৮ হাজার ৯২৪। প্রাণ হারিয়েছেন ৬ হাজার ৬০৬ জন। আবার মোট সংক্রমণের নিরিখে পিছিয়ে থাকলেও মৃত্যুর নিরিখে অন্ধ্রের চেয়ে এগিয়ে কর্ণাটক, তামিলনাড়ু এবং উত্তরপ্রদেশ। তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা কর্ণাটকে ৮ লক্ষ ৫ হাজার ৯৪৭ জন সংক্রমিত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন ১০ হাজার ৯৪৭ জন।
তামিলনাড়ুতে মোট সংক্রমিত ৭ লক্ষ ১১ হাজার ৭১৩ এবং মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ৯৫৬। উত্তরপ্রদেশে সবমিলিয়ে ৪ লক্ষ ৭২ হাজার ৭৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এবং মৃত ৬ হাজার ৯০৪ জন। তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে কেরালা। সেখানে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৯৭ হাজার ২১৭। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৩৫২ জনের। সপ্তম স্থানে থাকা দিল্লীতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৫৯ হাজার ৪৮৮। সেখানে এখনও পর্যন্ত ৬ হাজার ৩১২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তবে ভারতে কোভিড রোগীদের সুস্থ হওয়ার পরিসংখ্যানটা বেশ স্বস্তিদায়ক। মোট আক্রান্তের মধ্যে ৭২ লক্ষ ১ হাজার ৭০ জনই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার প্রকোপ কাটিয়ে উঠেছেন ৬৩ হাজার ৮৪২ জন রোগী। এই মুহূর্তে দেশে সুস্থতার হার ৯০.৬২ শতাংশ।