কলকাতা হাইকোর্ট পুজো মণ্ডপে সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারির পরেও সেই রায় সাধারণ মানুষ কতটা মানবে, তা নিয়ে ধন্দে ছিল কলকাতা পুলিশ। তাই উচ্চ আদালতের রায় পালনে কড়া হাতেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কথা ভেবেছিল পুলিশ প্রশাসন। তবে পুলিশ বাহিনীর সমস্ত আশঙ্কাকে মিথ্যে করে এবছর ঘরে বসেই পুজো কাটালো অধিকাংশ মানুষ। যার ফলে এবার ভিড় অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেকটাই কম।
তবে মণ্ডপের বদলে এবছর ভিড় বেড়েছে শহরের পানশালাগুলিতে। এদিকে, মহাষ্টমীর অঞ্জলি অনেক পুজো মণ্ডপেই শুধুমাত্র ক্লাব সদস্যদের জন্য আয়োজন ছিল। বাইরের দর্শনার্থীদের মণ্ডপে ঢোকা ছিল সম্পূর্ণ বারণ৷ তবে বেশিরভাগ মণ্ডপেই দেখা গিয়েছে সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং মেনে হোক কিংবা স্প্রে-হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করে অষ্টমীর অঞ্জলির ব্যবস্থা করতে৷ ছোটখাটো পুজোর ক্ষেত্রে নিয়ম মানার অত বালাই ছিল না। তবে অন্যান্যবারের তুলনায় শহরের বেশ কিছু জায়গায় ভিড় কমই লক্ষ্য করা গিয়েছে৷
যেমন অষ্টমীর বিকেল, তবু গড়িয়াহাট চত্বরে পুলিশ-পাহারায় মসৃণ যান চলাচল কবে দেখা গিয়েছে, মনে করা সম্ভব নয়, বলছেন লালবাজারের শীর্ষ কর্তারাই। তবুও মানুষের বাইরে বেরোনোর প্রবণতায় নবমী নিয়ে সতর্ক থাকছে প্রশাসন। পুজো নিয়ে উৎসাহ চোখে পড়েছে বেহালা-সহ দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন অংশে। হাইকোর্টের নির্দেশে কিছুটা ফল মিললেও নবমীতে ঢিলেমি দেওয়া হবে না বলেই স্পষ্ট জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ।