ফেসবুক ও বিজপির আঁতাতের অভিযোগে সরগরম দেশের রাজনীতি। গেরুয়া শিবিরের নেতাদের হেট স্পিচ জুকেরবার্গের সংস্থা সেন্সর করে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। এসবের মধ্যেই ফের কাঠগড়ায় উঠল ফেসবুক। অভিযোগ, ফ্যাক্ট চেকের কোনও বালাই নেই, বিজেপির দেওয়া ভুল তথ্যই ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ফেসবুকে।
ওয়াকিবহাল মহলের অভিযোগ, বিগত এক বছর ধরে ভারতে ফেসবুকের সহযোগী ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থার কাজ হতাশাজনক। বিজেপির দেওয়া ভুল তথ্য অবলীলায় ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। না হচ্ছে ফ্যাক্ট চেকিং না নেওয়া হচ্ছে কোনও ব্যবস্থা। ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভুয়ো খবরের শিকার হচ্ছেন ব্যবহারকারীরা। এমনই অভিযোগ করেছে ফ্যাক্ট চেকিং নিউজ পোর্টাল অল্ট নিউজ।
প্রসঙ্গত, মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবর অনুযায়ী, ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদীর জয়ের পর এ দেশে ফেসবুকের পাবলিক পলিসি এগজিকিউটিভ আঁখি দাস তাঁর সংস্থার কর্মীদের ই-মেল পাঠিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন। আঁখি সেই ই-মেলে লিখেছিলেন, ‘আমরা ওঁর সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচার দাবানলের মতো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। বাকিটা ইতিহাস।’ এরপরেই বিজেপির সঙ্গে ফেসবুকের আঁতাতের অভিযোগ তোলে বিরোধীরা।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের পর জুন মাসেই এই নিয়ে সংসদে সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতার ফেসবুক লাইভের সময় যাঁরা লাইক, কমেন্ট করছিলেন, তাঁদের ব্লক করে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল ফেসবুকের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে জুকেরবার্গের সংস্থাকে চিঠিও পাঠিয়েছে তৃণমূলে। ডেরেকের অভিযোগ, ভারতে ফেসবুকের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ হল প্রকৃতপক্ষে বিজেপির প্রচার ম্যানেজার। ফেসবুকের দিল্লী অফিস তো কার্যত (বিজেপির) সম্প্রসারিত আইটি সেল। বিজেপি বিরোধী কনটেন্টের সেন্সর করেছে ফেসবুক।’ এবার নতুন করে ফ্যাক্ট চেক ছাড়াই বিজেপির দেওয়া ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ফেসবুকের বিরুদ্ধে।