একেই করোনা সংক্রমণ। তার ওপর আশঙ্কার কালো মেঘ জমেছিল আকাশে। বঙ্গোপসাগরে ক্রমশ দানা বাঁধছিল গভীর নিম্নচাপ। যা নিয়ে মনমরা হয়ে পড়েছিল বঙ্গদেশের পুজোপ্রেমীরা। কিন্তু মা দুর্গার আশীর্বাদে অষ্টমীর সকালেই সেই আশঙ্কার কালো মেঘ কেটে গিয়েছে। গতকাল দিনভর আকাশ মেঘলা থাকলেও দুর্যোগের যে সম্ভাবনার কথা আবহাওয়া দফতর শুনিয়েছিল, তা বিদায় নিয়েছে। আজ সকাল থেকেই আবহাওয়ার উন্নতি। তবে নিম্নচাপের দরুণ এক ধাক্কায় তাপমাত্রা অনেকটাই কমেছে। এমনকি হালকা হাওয়ায় ভ্যাপসা গরম উধাও হয়েছে।
সূত্রের খবর, উপকূল থেকে বাংলাদেশের দিকে সরে গিয়েছে অতি শক্তিশালী নিম্নচাপ। ফলে রাজ্যজুড়ে কমেছে দুর্যোগের আশঙ্কা। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুধুমাত্র উপকূলীয় জেলা ছাড়া রাজ্যের অন্য কোথাও বৃষ্টির আশঙ্কা নেই। সপ্তমীর দিন দুপুরে কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হয়েছে। অষ্টমী সকাল থেকে ধীরে ধীরে কেটেছে মেঘ। অষ্টমী থেকে ঝকঝকে শারদীয় সকাল উপভোগ করছেন আমবাঙালি।
প্রসঙ্গত, সপ্তমীতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। মণ্ডপের ক্ষয়ক্ষতির কথা মাথায় রেখে পুজো উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে কলকাতা-সহ সাত জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের সতর্ক করেছিল নবান্ন। কিন্তু সপ্তমীর বেলা থেকেই আবহাওয়া পরিবর্তনে হাসি ফুটেছে উদ্যোক্তাদের মুখে। যে গুটিকয়েক দর্শককে রাস্তায় দেখা যাচ্ছে, স্বস্তিতে তাঁরাও। শুক্রবার হাওয়া অফিস জানায়, নিম্নচাপের প্রভাব এ রাজ্যে আর পড়বে না। যা শুনে স্বস্তিতে বঙ্গবাসী।