করোনা আবহে সাধারণ দর্শনার্থীদের ভেতরে প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছে। তবে পুজোর পুরোনো রীতিনীতিতে একফোঁটাও পরিবর্তন হয়নি। প্রতি বছরের মতো এ বারেও মহাষ্টমীতে সাড়ম্বরে কুমারী পুজো হল বেলুড় মঠে। চলতি বিচিত্র ‘সুভাগা’ রূপে পুজো করা হয়েছে এক নাবালিকাকে। উল্লেখ্য, বেলুড় মঠে দুর্গাপুজো শুরু করেন স্বামী বিবেকানন্দ। সারদা দেবীর নামে দুর্গাপুজোর সঙ্কল্প করা হয়েছিল। সেই প্রথা মেনে এখনও চলছে সেই পুজো।
প্রথম বর্ষেই ন’জন কুমারীকে একসঙ্গে পুজো করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১ জনকে নিজের হাতে পুজো করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। এরপর থেকেই প্রথা মেনে প্রতি বছর মহাষ্টমীতে বেলুড় মঠে কুমারী পুজো হয়ে আসছে। এছাড়াও পুরোনো প্রথামাফিক এদিনও মূল মন্দিরে আত্মারামের কৌটো বার করে শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেবের মহাস্নান করানো হয়েছে।
আজ সকালে বেলুড় মঠের মূল মন্দিরের পাশে পুজোর মণ্ডপে কুমারী পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়। অন্যবার পুজোর পরে দর্শনার্থীর মধ্যে ভোগপ্রসাদ বিতরণ করা হয়। সকাল থেকে বেলুড় মঠে ভক্ত সমাগম হয়৷ অন্যবার এইদিনে প্রায় কয়েক লক্ষ ভক্ত সমাগম হয় বলে জানা যায় বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষের সূত্রে। দুর্ঘটনা এড়াতে স্থলপথে-জলপথে কড়া নজরদারি চালানো হয় ৷ স্পিডবোটে জলপথে নজর থাকে পুলিশের ৷ তবে এবছর সেসবে কড়া নিষেধাজ্ঞা। তাই ভক্তবৃন্দের জন্য অনলাইনে পুজো দেখানো হচ্ছে। এদিন সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় কুমারী পুজো।
এদিকে দুর্গাপূজার সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং জাঁকজমকপূর্ণ দিন অষ্টমী। সকাল থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে অঞ্জলি দিতে মানুষের ভিড় দেখা যায় অন্যবারে। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের কড়া রায়ে এবছর সেসব বন্ধ। তাই বাড়িতে বসেই সবাই অঞ্জলি দিচ্ছেন। বাঙালির বাঁধ ভাঙা আবেগ আর উৎসবের উচ্ছ্বাসে দেবীপক্ষের সঙ্গে পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে বহু আগেই ৷ কিন্তু সবই এবার মনে মনে। বাঁধ মানছে না মন। তবু নিজেদের কোনোরকমে বাঁধনে বেঁধে পুজো কাটাচ্ছে বাঙালি।