প্রথম দিকে তাঁকে অতটা পাত্তা দেয়নি শাসক জোট। তবে হঠাৎ করেই আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের জনপ্রিয়তা বাড়তে দেখে কপালে চিন্তার রেখা দেখা গিয়েছে বিহারের এনডিএ নেতাদের কপালে। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও নীতীশ কুমারের জনসভার পাল্টা সভা করে চাপ বাড়িয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। আবার গতকালই সভা ছিল তেজস্বীর। সেই সভা থেকে ফের নীতিশ কুমার এবং বিজেপিকে বিঁধেছেন লালু-পুত্র। হিসুয়ার সভায় গতকাল তেজস্বী বলেন, ‘লালুজি ৯ তারিখ মুক্তি পাবেন। উনি একটি মামলায় ইতিমধ্যে জামিন পেয়েছেন। ৯ নভেম্বর অন্য একটি মামলাতেও জামিন পেয়ে যাবেন। সে দিন মুক্তি পাবেন তিনি। ওই দিনই আমার আবার জন্মদিন। পর দিন ১০ তারিখ বিহার ভোটের ফল গণনা হবে। সেদিনই ফেয়ারওয়েল হয়ে যাবে নীতিশ কুমারের।’
প্রসঙ্গত, পশুখাদ্য মামলা-সহ একাধিক মামলায় ঝাড়খণ্ডের জেলে বন্দি রয়েছেন লালু প্রসাদ। সম্প্রতি একটি মামলায় ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট তাঁকে জামিন দিয়েছে। কিন্তু আরও একটি মামলার শুনানি বাকি রয়েছে। এদিকে তাৎপর্যপূর্ণ হল, এ বার তেজস্বীর সভাগুলিতে প্রথম দিন থেকে ভাল জমায়েত হচ্ছে। নীতিশ কুমার যে হেতু বিজেপির জোট সঙ্গী তাই সংখ্যালঘু ভোটের পুরোটাই আরজেডি তথা তেজস্বীর দিকে ঝুঁকেছে বলে অনেকেই মনে করছেন। তা ছাড়া আরজেডির নিজস্ব যাদব ভোট তো রয়েছেই। বিহারে নতুন প্রজন্মকে কাছে টানতে ১০ লক্ষ কর্মসংস্থানের ভোট প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তেজস্বী।
গতকালের সভায় তেজস্বী নীতিশকে খোঁচা দিয়ে আরও বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীজি আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। বিহারের দেখভাল করতে পারছেন না। দুর্নীতি দমন করতে পারছেন না। আপনি বিহারের মানুষকে কাজও দিতে পারেননি। ঘর ছেড়ে তাদের অন্য রাজ্যে যেতে হয়েছে। এ বার আপনাকে গদি ছাড়া করবে তারা।’ ভোটের মুখে বিহারে ঢালাও উন্নয়ন ও শিল্পায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নীতিশ। সে প্রসঙ্গে তেজস্বী বলেন, যাঁরা ১৫ বছর ধরে বিহারে শিল্পায়ন করতে পারেননি, মানুষকে কাজ দিতে পারেনি তাঁরা আগামী পাঁচ বছরেও তা পারবেন না। উল্লেখ্য, বিহারে প্রথম দফার ভোট গ্রহণ হবে ২৮ অক্টোবর। এর পর ৩ এবং ৭ নভেম্বর আরও দু দফায় ভোট গ্রহণ হবে। তার পর ১০ তারিখ ভোট গণনা হবে।