কোভিড যোদ্ধাদের সম্মান জানাতে চলতি বছর দুর্গোৎসবে নয়া পুরস্কার চালু করেছে রাজ্য সরকার। পুজোর সময় কোভিড সংক্রমণ রোধে সুরক্ষাবিধি রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা নেবে যে পুজো কমিটিগুলি, তাদের পুরস্কৃত করার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বিশ্ববাংলা শারদ সম্মানে এ বার ‘কোভিড ওয়ারিয়র পুজো’র শিরোপা পেল আলিপুর বডিগার্ড লাইন। বৃহস্পতিবার মহাষষ্ঠীতে নন্দনে বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান প্রাপকদের নাম ঘোষণা করেন রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে উৎকর্ষের জন্য কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার মোট ৯৫টি পুজো পুরস্কৃত হয়েছে। এগুলির মধ্যে সেরার সেরা তালিকায় রয়েছে ৩৮টি পুজো। যেমন- বড়িশা ক্লাব, চেতলা অগ্রণী, সুরুচি সঙ্ঘ, বাগবাজার সর্বজনীন, নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘ, একডালিয়া এভারগ্রিন, শ্রীভূমি স্পোর্টিং, ত্রিধারা, কাশী বোস লেন সর্বজনীন দুর্গোৎসব, বারুইপুর আদি সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি, বেহালা এসবি পার্ক, যোধপুর পার্ক শারদীয়া দুর্গোৎসব ইত্যাদি।
সেরা মণ্ডপের শিরোপা মিলেছে বেহালা নতুন সঙ্ঘ, সিকদারবাগান সাধারণ দুর্গোৎসব ও চোরবাগানের। এদিকে, সেরা আলোকসজ্জার সম্মান পেয়েছে হিন্দুস্তান ক্লাব সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি, কলেজ স্কোয়ার, সিংহি পার্ক ও সিমলা ব্যায়াম সমিতি। সেরা প্রতিমার সম্মান পেয়েছে সেলিমপুর পল্লি, কালীঘাট মিলন সঙ্ঘ, রাজডাঙা নব-উদয় সঙ্ঘ ও সল্টলেক সিজি ব্লক। সেরা সাবেক পুজোর স্বীকৃতি মিলেছে কুমারটুলি সর্বজনীন, সঙ্ঘশ্রী, চালতাবাগান ও আদি বালিগঞ্জের। এ ছাড়া বিশেষ পুরস্কার, সেরা পরিবেশবান্ধব, সেরা ঢাকেশ্রী, সেরা বিশ্ববাংলা ব্র্যান্ডিং গোত্রেও বিভিন্ন পুজো পুরস্কৃত হয়েছে।
ইন্দ্রনীল জানান, চলতি মাসের ১৬ তারিখ পর্যন্ত দেড় হাজার পুজো কমিটি বিশ্ববাংলা শারদ সম্মানের জন্য আবেদনপত্র দাখিল করেছিল। এরই মধ্যে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার বেশ কিছু পুজোর নাম পুরস্কার প্রাপক হিসাবে ঘোষণা করা হল। তবে চলতি বছরে করোনা আবহের জেরে আবেদনপত্র জমা পড়া থেকে সেরাদের বাছাই- সব কিছুই হয়েছে অনলাইনে।