আজ সকালে বঙ্গবাসীকে শারদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রদেশ এবং জাতীয় স্তরের তাবড় বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরাও হাজির ছিলেন সল্টলেকের ইজেডসিসি অডিটোরিয়ামে। তবে আমন্ত্রণ পেয়েও হাইপ্রোফাইল এই অনুষ্ঠানে যোগ দেননি দলের বর্ষীয়ান নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায় ও অধ্যাপক বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
সকাল থেকেই এদিন বিজেপির অন্দরে সাজ সাজ রব। কিন্তু হলঘরে নেই শোভন-বৈশাখী। বিজেপি নেতারা জানিয়েছেন, দু’জনকেই আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছিল। সূত্রের খবর, বিজেপির আন্তরিকতা নিয়ে শোভন-বৈশাখীর মনে ধন্দ রয়েছে। আর তাই মুখ্যমন্ত্রীর ভাইফোঁটা বা চলচ্চিত্র উৎসবে গেলেও প্রধানমন্ত্রীর পুজোর অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত দু’জনেই। তৃণমূলের যেকোনও বৈঠকেই শোভন থাকতেন সামনের সারিতে। এমনকী বৈশাখীকেও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মঞ্চে বক্তৃতা দিতে দেখা গিয়েছে। বিজেপির অনুষ্ঠানে যে দুজনে একদমই উৎসাহী নন, তা স্পষ্ট করে দিতেই কি এদিন অনুপস্থিত তাঁরা? উত্তর মেলেনি।
রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, বৈশাখীর উৎসাহেই মুখ্যমন্ত্রীর ভাইফোঁটা এবং চলচ্চিত্র উৎসবের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন শোভন। এদিন প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠক নিয়ে নির্লিপ্ত ছিলেন বৈশাখী। প্রসঙ্গত, বিজেপির রাজ্য কমিটিতে তাঁর নাম মৌখিকভাবে ঘোষণা হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও তা জানানো হয়নি। এই কারণেই কি বিজেপি থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখছেন বৈশাখী? তাঁর এদিনের ফেসবুক স্টেটাস, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভালবাসার সম্পর্ক আরও নিবিড় হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”
এদিন ফেসবুকে বৈশাখী জানিয়েছেন, কালীঘাটের সঙ্গে শারদ উপহার বিনিময় হয়েছে তাঁদের। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুজনের জন্যই পোশাক পাঠিয়েছেন। শোভনের জন্য দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে কুর্তা-পাজামা এবং বৈশাখীর জন্য শাড়ি এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীকেও শাড়ি পাঠিয়ে পাল্টা শারদ উপহার দিয়েছেন তাঁরা।