গঙ্গা বা তার কোনও শাখানদীতে বিসর্জন দেওয়া যাবে না, কোনও পুকুরে ভাসান দিতে গেলেও গুচ্ছ নির্দেশিকা মানতে হবে বলে জানিয়েছিল এনএমসিজি। একেবারে শেষ মুহূর্তে সেই গাইডলাইন আসায় গত বছর সেই নির্দেশিকা কার্যকর করা যায়নি। গঙ্গা বা তার কোনও শাখানদীতে অবশ্য এই বছরও ভাসান বন্ধ করা যাচ্ছে না। তবে এনএমসিজির নির্দেশিকা মেনে পুজোর ভাসানের জন্য এ বার জোরদার পদক্ষেপ করেছে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। উত্তর শহরতলির দু’টি পুকুরে সেই জন্য পর্ষদ পাইলট প্রোজেক্টও নিয়েছে।
এর পাশাপাশি, পুজোর সময়ে যে কোনও রকম পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত অভিযোগ জানানোর জন্য বুধবারই চালু হয়েছে পর্ষদের কন্ট্রোল রুম।
বুধবার এক ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র ও সদস্য সচিব রাজেশ কুমার জানান, লেক টাউনের দেবীঘাট ও দমদম পার্কের ৪ নম্বর ট্যাঙ্কে এই পাইলট প্রোজেক্ট নেওয়া হয়েছে। দুর্গাপুজোর পাশাপাশি লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজোর ভাসান এবং ছট পর্যন্ত এই ব্যবস্থা থাকবে। পর্ষদের চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই দু’টি পুকুরেই এনএমসিজির নির্দেশিকা মেনে সিন্থেটিক লাইনার থাকবে। যাতে প্রতিমা বিসর্জনের পর যাবতীয় আবর্জনা সেখানে জমা হয়। দ্রুত সেই আবর্জনা সরিয়ে দেওয়া হবে।’ পর্ষদ সূত্রের খবর, উত্তর কলকাতা ও উত্তর শহরতলির কয়েকশো পুজোর প্রতিমা ওই দু’টি পুকুরে বিসর্জন দেওয়া যেতে পারে। পর্ষদের এক কর্তার বক্তব্য, ‘আশা করা যায়, এর পর কলকাতা ও রাজ্যের অন্যত্রও এই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।’