বড় আশা নিয়ে বুক বেঁধেছিল বাংলার গেরুয়া শিবির। আশায় ছিল কর্মী সমর্থকেরাও। কিন্তু ষষ্ঠীর সকালে কী পেল গেরুয়া শিবির! না ধুতি পাঞ্জাবি পরা এক ‘মেকি’ বাঙালিকে। তার থেকেও মেকি লাগলো বাংলার প্রতি দরদে উথলে ওঠা আদিখ্যেতা। বোধনের মোদীর ভাষণের পর এমনই বলছে নেটিজেনরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নেট নাগরিকরা লিখেছেন, যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের কেন্দ্রীয় প্রকল্পে কাজ দেয় না, যে বাংলাকে তাঁর প্রাপ্য জিএসটির ভাগ দেয় না, যে বাংলার মানুষের পাশে লকডাইনে দাঁড়ালো না, যার গত ছয় বছরে একবারও বাংলার দুর্গাপুজোর কথা মনে পড়লো না, তাঁর আজ হঠাৎ করে মনে হল বাঙালিকে অভিনন্দন জানানোর দরকার। দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ধুতি পাঞ্জাবি পড়ে এসে বাংলায় কিছু বুলি আউড়ে চেষ্টা করলেন একটু মেকি বাঙালি সাজার। কিন্তু ওই মেকি অবধিই পারলেন আসতে। পুরো বাঙালি আর হওয়া হল না। নরেন্দ্র মোদী আর বাঙালি হলেন না।
এদিনের ভাষনে দুর্গাপুজোর সঙ্গে বাঙালির আবেগকে উস্কে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উমা এল ঘরে। বাংলার এই সনাতন পরম্পরা রয়েছে। প্রতিটি নারীকে মায়ের রুপে শ্রদ্ধা জানাতে হবে। নারীদের প্রতি নির্যাতন রুখতে এদেশে এখন কড়া আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। মহিলাদের সুরক্ষার জন্য এই সরকার যথেষ্ট তৎপর।’ যদিও তাঁর এই সব ভিত্তিহীন দাবি তুলে এখন হাসাহাসি করছে রাজ্যের অবিজেপি দলগুলির নেতা থেকে কর্মী ও সমর্থকেরা। যে দলের শাসনে উত্তরপ্রদেশে একের পর মহিলা ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার হন সেই রাজ্যের কথা ভুলে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী যদি নারী নিরাপত্তার সাফল্য তুলে ধরেন তাহলে কার না হাসি পাবে! তাঁদের বক্তব্য, মোদীর এই ‘আদিখ্যেতা’ সবটাই ২০২১শের বিধানসভা নির্বাচনে ভোট প্রাপ্তির লক্ষ্যেই। কারোর বুঝতে বাকি রইল না এই ধুতি-পাঞ্জাবি বেশে মেকি মেকি বাঙালি সাজাটা শুধু সামনের বছরের ভোটের জন্য।