করোনার ধাক্কা সামলে ক্রমশ স্বাভাবিকের পথে ফিরেছে ক্রিকেট। প্রথমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নেওয়ার পর, বর্তমানে মরু দেশে আইপিএলে খেলতে ব্যস্ত সব দেশের ক্রিকেটাররা। তবে করোনার হাত থেকে রেহাই পেতে এই পর্বে প্রত্যেককে থাকতে হচ্ছে জৈব সুরক্ষা বলয়ে। দীর্ঘ বিরতির পর পুনরায় মাঠে ফিরতে পেরে খুশি হলেও, এভাবে খুব বেশিদিন খেলা সম্ভব নয় বলেই ধারণা ক্রিকেটারদের।
করোনার ধাক্কা সামলে সবার প্রথম মাঠে নেমেছিল ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যেখানে ক্যারিবিয়ানদের দলনায়ক ছিলেন জেসন হোল্ডার। বর্তমানে তিনি আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদে যোগ দিয়েছেন। তিনিও মনে করছেন, পরিবারকে ছেড়ে দিনের পর দিন জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে গোটা টুর্নামেন্টে কাটানোটা মোটেই সহজ নয়। হোল্ডার জানান, ‘সেরাটা পেতে হলে খেলোয়াড়দের মানসিক ও স্বাস্থ্যের কথাও মাথায় রাখতে হবে। আমাকে প্রথমে ইংল্যান্ডে দু’মাস জৈব বলয়ের মধ্যে কাটাতে হয়েছে। এরপর মাত্র দু’দিনের জন্য বাড়ি গিয়েছিলাম। আবার দেড় মাসের জন্য সিপিএল খেলতে ত্রিনিদাদ চলে যাই। সেখান থেকে ৪-৫ দিন বার্বাডোজে বাড়িতে থাকার পরই আইপিএলে ডাক পেলাম। এখানেও এসে সব নিয়ম মেনে আইসোলেশনেই থাকতে হচ্ছে। ফলে পরিবার এবং ভালোবাসার মানুষদের কাছ থেকে দূরে থাকার কষ্ট তো আছেই। আমি গত পাঁচ মাস ধরে বার্বাডোজকে ভালো করে দেখিনি। জানি না, কবে সেখানে ফিরতে পারব।’
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান বলেন, ‘আমরা অনেক ভাগ্যবান যে আবার খেলার মতো অবস্থায় আসতে পেরেছি। এর জন্য অবশ্যই সকল দেশের ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাতেই হবে। তারা সবসময় ক্রিকেটারদের সুরক্ষাকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। তবে দীর্ঘদিন এভাবে জৈব বলয়ের মধ্যে থাকাটা সত্যিই কষ্টকর। এর জন্য অনেক ক্রিকেটারই সরে দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছে।’