পুজো মণ্ডপে নো এন্ট্রি জোনই থাকবে নাকি দর্শক ঢুকতে পারবে? আজ পঞ্চমীর দিন রায় পুনর্বিবেচনা করে মত জানাবে হাইকোর্ট। ফলে সব নজরই এখন আদালতের দিকে।
এই আবেদনকারীদের মধ্যে মোট চারশো পুজো কমিটি রয়েছে। কলকাতার নামজাদা হেভিওয়েট পুজোগুলিও ফোরামের শরিক। তাঁরা চান মণ্ডপ দর্শকশূণ্য রাখার যে রায় দিয়েছে আদালত, তা পুনর্বিবেচনা করা হোক। এক পুজো কমিটির শীর্ষকর্তার কথায়, ‘আমরা প্রবল উৎকণ্ঠায় আছি। সব কিছুর জন্যেই প্রস্তুত। রায় জেনে পরবর্তী পদক্ষেপ করব।’
প্রশাসনের তরফে অবশ্য রায়ের জন্যে অপেক্ষা না করে ব্যবস্থা নেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। দেশপ্রিয় পার্ক, সুরুচি সংঘ, ত্রিধারার মতো পুজোগুলিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ৪৫-৬৫ জন পুলিশ অফিসার থাকবেন। জেলাগুলিতেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কোথাও বাড়তি হোমগার্ড-সিভিক পুলিশ নেওয়া হয়েছে। কোথাও আবার অতিরিক্ত বাহিনী নামানো হচ্ছে। কিন্তু তৎপরতাটা ঠিক কী হবে তা বোঝা যাবে এদিনের রায়ের পরেই।
সোমবার রাজ্যের সমস্ত পুজো প্যান্ডেলই দর্শক শূন্য রাখার কথা জানিয়ে দেয় আদালত। সোমবার রাজ্যের হয়ে হাইকোর্টে সওয়াল করছিলেন কিশোর দত্ত। অন্য দিকে, জনস্বার্থ মামলায় মামলাকারীদের পক্ষে লড়েন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। সওয়াল জবাব শেষে আদালত স্পষ্ট জানায়, সব মণ্ডপের চারপাশে ৫-১০ মিটার জায়গা জুড়ে ব্যারিকেড দিতে হবে। নো এন্ট্রি ঘোষণা করতে হবে এই ব্যারিকেড জোনকে। সেখানে প্রবেশাধিকার শুধুই উদ্যোক্তাদের। সেই কর্মকর্তাদের নামও ঝুলিয়ে দিতে হবে মণ্ডপের বাইরে। দূরত্ব বিধি প্রণয়নের দায়ভার কলকাতা পুলিশ এবং পুজো উদ্যোক্তাদের। আদালত আরও বলে, পুজোকমিটিগুলিকেই ভার্চুয়ালি পুজো দেখার বন্দোবস্ত করতে হবে। হাইকোর্টের আদেশ কী ভাবে কতটা পালিত হল তা হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে ৫ নভেম্বর।
এই রায়ে বেশির ভাগ পুজো সংগঠনগুলি আশাহত। ফলে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছে। আবেদন গ্রহণও করেছে আদালত। আজ পঞ্চমীর দিন মামলার শুনানি। ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের পক্ষে মামলা লড়বেন আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজো মামলায় যোগ দিতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছে চিকিৎসকদের ফোরাম। তাদের বক্তব্য সোমবার সঠিক রায় দিয়েছে আদালত। পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন নেই বলেই মনে করে চিকিৎসকদের ফোরাম।