দর্শকহীন পুজোর রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব সংগঠন। মহা চতুর্থী নয়, মহা পঞ্চমী অর্থাৎ বুধবার এই আর্জির শুনানি হবে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। মঙ্গলবার এই আরজির প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার-সহ মামলার সকলপক্ষকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবারের রায়ে একাধিক বদল চেয়েছে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব সংগঠনও। তাঁদের কথায়, গত তিন মাস ধরে কোভিডের কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রাখা হয়েছে।
সোমবার সন্ধের পর আদালতের রায়ের কপি হাতে পায় পুজো কমিটিগুলি। এরপর রায় মেনে ব্যবস্থা করতে গিয়ে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন তাঁরা। হাই কোর্ট তাঁদের রায়ে মণ্ডপে কতজন প্রবেশ করতে পারবেন তা বেঁধে দিয়েছেন। তাতে দেখা গিয়েছে ছোট মণ্ডপগুলির ক্ষেত্রে পুরোহিত-সহ সর্বাধিক ১৫ জন সদস্য ও বড় মণ্ডপের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ৩০ জনব প্রবেশ করতে পারবেন। অথচ পুরোহিতের সংখ্যাই কোথাও কোথাও পাঁচজন পর্যন্ত হতে পারে। ফলে সদস্য সংখ্যা কমে যাবে। কোথাও আবাকর মণ্ডপের সামনে ১০ ফুট ছাড়ার মতো জায়গা নেই। এরপরই রায় পুনর্বিবেচনা ও কিছু বদল চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ পুজো কমিটিগুলি। মঙ্গলবার দুপুরে শুনানির কথা থাকলেও, আইনি জটিলতায় তা সম্ভব হয়নি। পুজো কমিটিগুলির আইনজীবী তথা সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতের কাছে রিভিউ পিটিশান দাখিলের আরজি জানিয়েছেন। তাঁর যুক্তি, হাই কোর্টের রায়ে বিপাকে পড়েছে বহু পুজো কমিটি।