শেষ অবধি দুর্গাপুজো নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কেই মান্যতা দিল রাজ্য সরকার। আজ সন্ধ্যায় হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে রাজ্য সরকার বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিল এবার সবাই পুজো ভার্চুয়াল মাধ্যমেই উপভোগ করুক। রাজ্যের এই অবস্থানে এবারের পুজোয় আর জনসমাগমের কোনও জায়গাই রইল না। কার্যত পুজো কমিটিগুলির হাতে গোনা ২০-২৫জন সদস্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে যাচ্ছে এবারের বারোয়ারি পুজোর আয়োজন তথা দর্শন।
যার ফলে চলতি বছরে বাঙালির পুজোমণ্ডপে আসা বা পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া আর হচ্ছে না। হবে না ভোগ খাওয়া, ধুনুচি নাচ এমনকি সিঁদুর খেলাও। তবে সব থেকে কষ্টকর অবশ্যই পুজোয় মণ্ডপের ধারেকাছেও ঘেঁষতে না পারা। এই ধাক্কা এখন রাজ্যবাসী কিভাবে নেয় এখন সেটাই দেখার। প্রসঙ্গত, আজ দুপুরেই কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যের বারোয়ারি পুজোগুলি এবারের মতো বন্ধ করার আর্জি নিয়ে দায়ের হওয়া একটি জনস্বার্থ মামলায় রায় দিয়ে জানিয়ে দেয় এবারের রাজ্যের ছোট-বড় কোন মণ্ডপেই কোনও দর্শনার্থী ঢুকতে পারবে না। কেবলমাত্র পুজোকমিটি গুলির জন ২০-২৫ সদস্য মণ্ডপে ঢুকতে পারবেন। তাও তাঁদের নামের তালিকা আগে থেকেই মণ্ডপে ঝুলিয়ে দিতে হবে।
এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে কার্যত মুহুর্তের মধ্যে রাজ্যজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই হাইকোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানান, আবার অনেকেই এই রায়ের জেরে চূড়ান্ত হতাশায় ডুবে যান। অনেকেই ভেবেছিলেন এই রায়ের বিরুদ্ধে তৃণমূল বা রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যাবে। রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছিলেন তাঁরা আদালতের রায়ের কপি হাতে পেলে এই বিষয়টি ভেবে দেখবেন। এর বাইরে তৃণমূলের কোনও নেতাই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি। তবে শেষ অবধি রাজ্য সরকার নিজেই এই রায়কে স্বাগত জানানোয় সমস্ত জল্পনারই অবসান হল।