করোনাভাইরাস মহামারির কারণে কয়েক মাস যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা বন্ধ ছিল। পরে বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় রেল। এই সমস্ত ট্রেনে কোনও প্যান্ট্রি কার নেই। যাত্রীদের নিজেদের সঙ্গে খাবার নিয়ে যেতে হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি থেকে দেশ মুক্ত হওয়ার পরেও হয়তো এই ছবির পরিবর্তন হবে না। কারণ এবার পাকাপাকিভাবে ৩০০টি ট্রেন থেকে প্যান্ট্রি কার বাদ দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে মোদী সরকার। ভারতীয় রেলের এহেন সিদ্ধান্তে এই ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত অন্তত ১০ হাজার জনের চাকরি যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
করোনা পরিস্থিতিতে রেলের আয় দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ক্ষতি পূরণের দাওয়াই হিসেবে ট্রেন থেকে প্যান্ট্রি কার বাদ দেওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করছে রেল মন্ত্রক। তার পরিবর্তে ট্রেনে যুক্ত করা হবে একটি এসি-৩ টিয়ার কামরা। এই অতিরিক্ত টিকিট বিক্রির মাধ্যমে রেলের আয় বাড়বে। এর ফলে বছরে রেলের অতিরিক্ত ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা আয় হবে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, খরচ বাঁচাতে আগামী দিনে ট্রেনে চাদর, কম্বল ইত্যাদি না দেওয়ার পথে চলেছে তারা।
সাধারণভাবে ট্রেনের একটি প্যান্ট্রি কারে রাঁধুনি এবং ওয়েটার-সহ ২০ থেকে ৩০ জন কাজ করেন। ফলে প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুসারে ৩০০ ট্রেন থেকে প্যান্ট্রি কার সরিয়ে ফেলা হলে প্রায় ১০ হাজার কর্মী সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা।
পরিবর্তে ই-ক্যাটারিং পরিষেবা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে রেল মন্ত্রক। অর্থাৎ যাত্রীরা অনলাইনে খাবারের অর্ডার দিতে পারবেন। নির্দিষ্ট স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ালে সংশ্লিষ্ট কেটারিং সংস্থা যাত্রীর কাছে খাবার পৌঁছে দেবেন। এ ছাড়াও বড় বড় স্টেশনগুলিতে বেস কিচেন তৈরির প্রস্তাবও এসেছে। এই বেস কিচেন তৈরির প্রস্তাব রেলের দু’টি কর্মী ইউনিয়নের তরফে কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়া হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ। দ্বিতীয় প্রস্তাবটিও রেল কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে।