‘বাংলাতে কেউ যক্ষায় মারা গেলেও ওরা বলবে দোষ রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার।’ আলিপুর বডিগার্ড লাইনে পুজো উদ্বোধনে নাম না করে করে এই ভাষাতেই গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিছুদিন ধরেই বিজেপি নেতারা বাংলার আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। আর এই অভিযোগে ইন্ধন জুগিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরও। গেরুয়া শিবির ও রাজ্যপালের পরিকল্পনামাফিক কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেই এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করে বলেন, ‘কিছু মানুষ কেবল পুলিশ বাহিনী এবং রাজ্য সরকারকে দোষারোপ করতে, তার দুর্নাম করতেই পছন্দ করেন। তাঁরা ভুলে যায় বছরের অন্যান্য সময়ের মতো এই কোভিড অতিমারী পরিস্থিতিতেও, এই কঠিন সময়ে কীভাবে পুলিশ নিজের পরিবারের কথা ভুলে মানুষের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে। অসম্মান করলে মনে রাখবেন অসম্মান ফিরে আসে।’
এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি-কে নিশানা করে বলেন, ‘যদি রাজ্যে যক্ষ্মায় কারও মৃত্যু হয় সে ক্ষেত্রেও ওরা বাংলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। তারা বলবে যে ওই মৃত্যুও রাজনৈতিক হিংসার জেরেই হয়েছে।’ মমতার মতে, রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধির জন্যই এ জাতীয় প্রচার চালানো হচ্ছে।
রবিবারই করোনায় মৃত্যু হয়েছে কলকাতা পুলিশের দুই আধিকারিকের। সেই ঘটনার শোকপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের মধ্যে অনেকেই সংক্রমিত হয়েছেন। কেউ কেউ সুস্থ হয়ে গেলেও আজ অনেকেই আর আমাদের মধ্যে নেই। তাঁদের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত।’ এদিন মুখ্যমন্ত্রী পুলিশের কাছে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানিয়ে মাস্ক পরে, স্যানিটাইজার ব্যবহার করে এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করার কথা উল্লেখ করেন।