সপ্তাহ তিনেক আগেই দিল্লীর সফদর জং হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে চার উচ্চবর্ণের ব্যক্তির হাতে গণধর্ষণের শিকার হওয়া হাথরসের দলিত মহিলা। যে কারণে এখনও তোলপাড় দেশ। তবে এ নিয়ে আরেক ফ্যাসাদে পড়ল যোগী সরকার। যে বাজরার ক্ষেতে নির্যাতিতার সঙ্গে দুষ্কর্ম করেছিল চার যুবক, সেটির মালিক এবার সরকারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে। ওই বাজরা ক্ষেতের মালিক সোম সিং জানিয়েছেন, সময়মতো ফসল কাটতে না পারায় তার কম করে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী সেই ব্যক্তি যোগী সরকারের কাছে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন। তাঁর দাবি, ক্ষেতে ফসল কাটার সময় পুলিশ তাঁকে আটকে ছিল। বলা হয়েছিল, ফসল কেটে দিলে সব প্রমাণ লোপাট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এমনকী তাঁকে জমিতে জল পর্যন্ত দিতে দেয়নি পুলিশ। ফলে তাঁর ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
সোম সিং নামে সেই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনি জয়পুরে একটি ছোটখাটো চাকরি করতেন। কিন্তু লকডাউনের জন্য গ্রামে ফিরে আসেন। তাঁর চাকরি আর নেই। ফলে গ্রামের জমিতে চাষ করে দিন গুজরান করছিলেন। ঘটনার পর সেই জমিতে একদিন তাঁর মা জল দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিস তাঁকে আটকায়। তাঁর জমি ঘেরাও করে রেখেছিল বিরাট পুলিশবাহিনী। তিনি বলেন, ‘এখন আমাকে সিবিআইয়ের অফিসাররা বলছেন ফসল কেটে নিতে! কিন্তু এখন তো গোটা ক্ষেতের ফসল সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যে সময় ফসলে জল দিতে হত, সেই সময় পুলিস ওই জমি ঘিরে রেখেছিল। কাউকে আশেপাশে যেতে দিচ্ছিল না। আমার ৫০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। সরকারের কাছে আবেদন করেছি যেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়! চাষবাস আর পশু পালন করেই আমাদের দিন কাটে।’ উল্লেখ্য, এই ক্ষেত মালিক সোম সং সিংয়ের ভাই বিক্রম ওরফে ছোট্টু ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী।