সপ্তাহ তিনেক আগেই দিল্লীর সফদর জং হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে চার উচ্চবর্ণের ব্যক্তির হাতে গণধর্ষণের শিকার হওয়া হাথরসের দলিত মহিলা। যা নিয়ে এখনও তোলপাড় গোটা দেশ। প্রশ্নের মুখে উত্তরপ্রদেশের নারী সুরক্ষা। তবে তাতেও থেমে নেই যোগী রাজ্যে লজ্জা। রবিবার সামনে এল ফের এক শিউরে ওঠার মত ঘটনার কথা। গণধর্ষণের শিকার হলেন আরও এক দলিত যুবতী। রাজ্যের কানপুর দেহাত জেলার বাসিন্দা ২২ বছরের ওই যুবতীকে বন্দুক দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণে অভিযুক্তদের একজন গ্রামের প্রাক্তন মুখিয়া।
জেলার পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট কেশবকুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘ঘটনাটি ঘটেছে এক সপ্তাহ আগে। কিন্তু পুলিশ ওই গণধর্ষণের বিষয়ে জানতে পেরেছে রবিবার।’ নির্যাতিতার বাবা-মা পুলিশকে জানিয়েছেন, ঘটনার সময় বাড়িতে বাড়িতে তিনি একাই ছিলেন। সেই সময় আচমকা সেখানে চড়াও হয় অভিযুক্তরা। তারপর এক এক করে দু’জন ধর্ষণ করে ওই যুবতীকে। যাওয়ার আগে তারা শাসিয়ে যায়, কাউকে কিছু বললে পরিণতি হবে ভয়ানক। পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে মামলা রুজু করা হয়েছে। দুই অভিযুক্তই পলাতক। তাদের গ্রেফতার করার জন্য তদন্তকারী দলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার উত্তরপ্রদেশের বারাবাঁকিতেও এক দলিত যুবতী ধর্ষণের শিকার হন। চাষের জমিতে ফসল কাটতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁকে ধর্ষণ করে হত্যা করে অভিযুক্তরা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে নির্যাতিতাকে। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে ফের এক গণধর্ষণে যোগী রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার দিকেই আঙুল তুলে দিয়েছে।