মোট আক্রান্তের নিরিখে ব্রাজিলকে পিছনে ফেলে করোনা আক্রান্ত দেশগুলির তালিকায় এখন দ্বিতীয় স্থানে ভারত। তবে গত কয়েক দিন ধরেই কমছে দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আবার রবিবার বাড়লেও গত দু’সপ্তাহ ধরে দৈনিক মৃত্যুও হচ্ছে হাজারের কম। আজ তা ৬০০-র কম। সংক্রমণের হারও ৬-৭ শতাংশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫৫ হাজার ৭২২ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। যার জেরে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ৭৫ লক্ষ ৫০ হাজার ২৭৩ জন। পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার হয়েছে ৬.৪৮ শতাংশ।
দেশে আক্রান্তের নিরিখে শুরু থেকেই শীর্ষে মহারাষ্ট্র। এখনও অবধি ১৫ লক্ষ ৯৫ হাজার লোক আক্রান্ত হয়েছেন সেখানে। অন্ধ্রপ্রদেশে ৭ লক্ষ ৮৩ হাজার ও কর্ণাটকে ৭ লক্ষ ৬৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তামিলনাড়ুতে সংখ্যাটা ৬ লক্ষ ৮৭ হাজার। ৪ লক্ষ ৫৫ হাজার আক্রান্ত নিয়ে দেশের পঞ্চম স্থানে উত্তরপ্রদেশ। তার পরই রয়েছে কেরালা। শুরুর ঝটকা সামলে নিলেও ওনামের পর থেকেই কেরালায় দৈনিক আক্রান্ত লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। যার জেরে সেখানে মোট আক্রান্ত ৩ লক্ষ ৪১ হাজারে পৌঁছেছে। দিল্লীতে মোট আক্রান্ত ৩ লক্ষ ৩১ হাজার। উড়িষ্যায় ২ লক্ষ ৬৮ হাজার ও তেলেঙ্গানাতে ২ লক্ষ ২৩ হাজার জন এখনও অবধি আক্রান্ত হয়েছেন। বিহার ও আসামে মোট আক্রান্ত ২ লক্ষ পেরিয়েছে।
অন্যদিকে, ভারতে ইতিমধ্যেই ১ লক্ষের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৭৯ জন মারা গিয়েছেন। এ নিয়ে মোট ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৬১০ জনের প্রাণহানি ঘটল করোনায়। তার মধ্যে ৪২ হাজার ১১৫ জন মারা গিয়েছেন মহারাষ্ট্রেই। তামিলনাড়ু ও কর্ণাটকে মোট মৃত্যু ১০ হাজারের বেশি। উত্তরপ্রদেশ ও অন্ধ্রপ্রদেশে তা সাড়ে ৬ হাজারের আশেপাশে। দিল্লীতে মৃত্যু সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে। তবে দেশে কোভিড রোগীদের সুস্থ হওয়ার হার শুরু থেকেই আশাব্যঞ্জক। এখনও পর্যন্ত মোট ৬৬ লক্ষ ৬৩ হাজার ৬০৮ জন করোনার কবলমুক্ত হয়েছেন। অর্থাৎ দেশের মোট আক্রান্তের ৮৮ শতাংশই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৬৬ হাজার ৩৯৯ জন। কয়েক সপ্তাহ ধরেই নতুন আক্রান্তের থেকে সুস্থ বেশি হওয়ায় দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমছে। কমতে কমতে তা হয়েছে ৭ লক্ষ ৭২ হাজার ৫৫ জন।