বন্দীদশা থেকে মুক্তি মিলতেই জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফেরানোর ডাক দিয়েছিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লাহ। আর তারপরই জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় আবদুল্লাহকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি। আজ সকালে তাঁকে জেরা করে ইডির আধিকারিকরা। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফেরানোর দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন ফারুক। আর তাই তাঁকে ভয় দেখাতেই কি কেন্দ্র সরকার ইডিকে ব্যবহার করছে? এমনটাই অভিযোগ উঠছে রাজনৈতিক মহলে।
২০০২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশানে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। সেইসময় ৪৩ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। সেই অভিযোগের তদন্ত করছে সিবিআই। দুর্নীতির অভিযোগে ফারুক আবদুল্লাহ-সহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিটও ফাইল করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। স্বাভাবিকভাবেই আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ হওয়ায় তদন্ত করছে ইডিও। সেই সূত্রেই এদিন বর্ষীয়ান নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে। ২০১৯-এর ৫ আগস্ট অর্থাৎ গৃহবন্দী হওয়ার আগেও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি।
এদিকে এই জিজ্ঞাসাবাদকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে কটাক্ষ করেছে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতৃত্বও। তাঁদের কথায়, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফেরাতে আমরা বর্তমানে আন্দেলনে নেমেছি। গুপকার ডিক্লেয়ারেশন মেনে পিপলস অ্যালিয়েন্স করেছি। এরপরই ইডি চিঠি পাঠায়। তাঁদের আরও অভিযোগ, “কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে কাজে লাগাচ্ছে।”