নভেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে করোনার অন্তত দু’টি টিকা বাজারে আসার ইঙ্গিত মিলল। তার মধ্যে একটি ভারতে। অন্যটি আমেরিকায়।
এই মুহূর্তে বিশ্বে মোট ১৫০টি করোনা টিকা বানানো হচ্ছে। তার মধ্যে অন্তত ১০টি টিকা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সবচেয়ে তাড়াতাড়ি যেগুলির বাজারে আসার সম্ভাবনা, তাদের অন্যতম ফাইজার, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, জনসন অ্যান্ড জনসন, মডার্না এবং চিনা সংস্থা সাইনোভ্যাক-এর বানানো করোনা টিকা।
সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের সবুজ সঙ্কেত পেলে আগামী মার্চেই দেশে করোনা টিকা এসে যাবে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত টিকা বানাচ্ছে সিরাম। এ ছাড়াও রাশিয়ার বানানো টিকা ‘স্পুটনিক ৫’-এর যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ভারতে স্থগিত রাখা হয়েছিল, কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল সেই ট্রায়াল ফের শুরুর অনুমতি দিয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।
টিকা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভারতের বাজারে আনার প্রস্ততিও শুরু হয়েছে বেশ কিছু দিন। সিরাম ইনস্টিটিউটের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর চিকিৎসক সুরেশ যাদব জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের সবুজ সঙ্কেত মিললে আগামী মার্চেই ভারতের বাজারে এসে যেতে পারে টিকা। এ ছাড়াও আর একটি সংস্থা ভারত বায়োটেক-এর বানানো টিকাও (‘কোভ্যাক্সিন’) রয়েছে এখন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের শেষ পর্যায়ে।