কিছু দিন আগেই দিল্লীর সফদর জং হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে চার উচ্চবর্ণের ব্যক্তির হাতে গণধর্ষণের শিকার হওয়া হাথরসের দলিত মহিলা। যা নিয়ে এখনও তোলপাড় গোটা দেশ। প্রশ্নের মুখে উত্তরপ্রদেশের নারী সুরক্ষা। তবে তাতেও থেমে নেই যোগী রাজ্যে লজ্জা। আদিত্যনাথের যে পুলিশ মেয়েদের সুরক্ষা দিতে পারছে না, তার প্রমাণ রাজ্যে আরও একটি ধর্ষণের ঘটনা। অসুস্থ মাকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পথে ধর্ষণের শিকার হলেন এগারো ক্লাসের এক তরুণী। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের জালৌন জেলার ওরাই অঞ্চলে।
পুলিশ জানায়, বুধবার দিনই অসুস্থ মাকে ভর্তি করতে হয় হাসপাতালে। পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে বাবার ফোন পেয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন ওই তরুণী। হাসপাতাল বাড়ি থেকে হাঁটাপথ। কিন্তু, রাতের নির্জন রাস্তায় কিছুদূর যাওয়ার পর ভয় লাগে তরুণীর। অন্ধকার রাস্তায় আর না গিয়ে, বাড়ির পথে ফিরে আসছিলেন। সেসময় ওই তরুণী লক্ষ করেন দু’জন তাঁর পিছু নিয়েছে। দ্রুত বাড়ির পথে হাঁটা দেওয়ার সময়, তারা জোর করে এগারো ক্লাসের ওই ছাত্রীকে রাস্তার ধারের একটি জঙ্গলে টেনে নিয়ে যায়। সেখানে অভিযুক্তরা তাঁকে ধর্ষণ করে, যাওয়ার আগে শাসিয়ে যায়।
কোনওরকমে বাড়ি ফিরে শুক্রবার সকালে ঘটনার কথা পরিবারের সদস্যদের জানান ওই তরুণী। এর পর বাবার সঙ্গে ওরাই থানায় গিয়ে একটি এফআইআর দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পুলিশ সুপার যশবীর সিং জানান, জালৌনের এই ধর্ষণের ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে পুলিশ ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে। দুজনেই নাবালক। পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, ফেসবুক প্রোফাইল ছবির সূত্র ধরেই ২ জনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়।
ঘটনার তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, মেয়েটিকে টেনে নিয়ে জঙ্গলে ঢোকার সময় দুই অভিযুক্তের একজন অপর জনকে নামে ডেকেছিল। সেই নামটুকু কেবল মনে রাখতে পেরেছিলেন নির্যাতিতা ছাত্রী। অভিযুক্তদের সম্পর্কে আর কোনও তথ্য তাঁর কাছে ছিল না। পরিবারের এক সদস্যের পরামর্শে ফেসবুক প্রফাইল সার্চ করতে গিয়ে দুই অভিযুক্তের একজনকে তাঁরা পেয়ে যান। নির্যাতিতা প্রোফাইলের ছবি দেখে ওই অভিযুক্তকে শনাক্ত করে। সেই মতো এফআইআরে এক অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করা হয়।