যুগ পাল্টেছে। আর যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই পাল্টেছে পারিপার্শ্বিক আরও অনেক কিছুই। যেমন বদলে গিয়েছে মিডিয়ার ধারণাও। মিডিয়া বলতে মানুষ এতদিন বুঝে এসেছেন প্রিন্ট বা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া। কিন্তু বদলে যাওয়া সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দ্রুত নিজের পায়ের তলার জমি শক্ত করে নিচ্ছে ডিজিটাল মিডিয়া। অর্থাত্, ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে মিডিয়া মানুষের হাতের মুঠোয় পৌঁছে যাচ্ছে। আজকের এই জেট গতির যুগে রাজনীতি থেকে বিনোদন কিংবা খেলা থেকে ব্যবসা—সব খবরেই মুহূর্তের মধ্যে চলে আসে মানুষের নাগালে এই ডিজিটাল মিডিয়ার সুবাদে। অতএব এমন শক্তিশালী নবীন মাধ্যমকে নজরআন্দাজ বা অবহেলা করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। অবশেষে শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হল, চিরাচরিত মিডিয়া যে সব সুবিধে সরকারের থেকে পায়, আগামীদিনে ডিজিটাল মিডিয়াকেও নিয়ে আসা হবে সেই সব সুযোগ-সুবিধের আওতায়। অর্থাৎ ডিজিটাল মিডিয়াও এবার থেকে মূলস্রোতের সংবাদমাধ্যম হিসাবে গণ্য হবে।
কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে জারি করা সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে বিভিন্ন ডিজিটাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সরকারি বিজ্ঞাপন দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে ডিজিটাল মিডিয়াকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেল্ফ রেগুলেটরি বডি তৈরি করার যাতে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে সুবিধে হয়। মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ঠিক যেমন প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সেল্ফ রেগুলেটিং বডি রয়েছে, তেমনই ডিজিটাল মিডিয়াতেও তেমনটা থাকবে।’ একই সঙ্গে যে সব রিপোর্টার, ক্যামেরাম্যান এবং ভিডিওগ্রাফাররা ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজ করেন তাঁদের জন্যে পিআইবি অ্যাক্রিডিটেশন দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। এই অ্যাক্রিডিটেশন পেলে ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকরাও প্রবেশের অনুমতি পাবেন বিভিন্ন সরকারি সাংবাদিক বৈঠকে। এছাড়াও তাঁরা পাবেন সিজিএইচএস-এর সুবিধে ও ট্রেনের কনসেশনাল ভাড়া।