করোনা আবহে প্রায় ৭ মাস বাদে খুলেছে শবরীমালার দরজা। আয়প্পার মন্দিরে পাঁচদিনের পুজো উপলক্ষ্যে প্রবেশের অনুমতি পাবেন পুণ্যার্থীরা। তবে মন্দিরে সবই কোভিড নিয়মকানুনের গণ্ডিতে বাঁধা। ভক্তদের বয়স যেমন বেঁধে দিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ, তেমনি পুজোর আচারেও মানতে হবে কড়া নিয়ম। কোভিড টেস্ট না করিয়ে মন্দিরে ঢোকার অনুমতি মিলবে না।
আনলক পর্বে একে একে তীর্থস্থানগুলির দরজা খুলে যাওয়ায় শবরীমালা মন্দিরও ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেরলের পিনারাই বিজয়ন সরকার। তাছাড়া নভেম্বর থেকে বার্ষিক মণ্ডল পুজোও শুরু হয়ে যাবে মন্দিরে।
মন্দিরে ঢোকার কম করেও ৪৮ ঘণ্টা আগে কোভিড টেস্ট করিয়ে সে রিপোর্ট জমা করতে হবে। সংক্রমণ রয়েছে বা আগে সংক্রামিত হয়েছিলেন এমন লোকজনের প্রবেশ নিষিদ্ধ। নিলাকালের কাছে বেস ক্যাম্পে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কোনও ভক্তের টেস্ট রিপোর্ট নিয়ে সংশয় থাকলে মন্দিরে ঢোকার আগে করোনা পরীক্ষা করানো হবে।
মন্দিরে ঢুকে হলে ফেস-মাস্ক বাধ্যতামূলক। মানতে হবে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিংয়ের নিয়মও। বেশিক্ষণ মন্দির প্রাঙ্গণে কাটানো যাবে না। রাতে বেসক্যাম্পে থেকে যাওয়াতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
দক্ষিণ ভারতের সমস্ত মন্দির পরিচালনা করে যে ত্রিবাঙ্কুর দেবস্বম বোর্ড জানিয়েছিল, সবচেয়ে বেশি ভক্ত সমাগম হয় যে মন্দিরে কেরালার সেই শবরীমালার দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মন্দিরের ভাঁড়া প্রায় শূন্য হতে বসেছে। তাই অনলাইন পুজোর বন্দোবস্ত করার সিদ্ধান্তও নিয়েছিল মন্দির কর্তৃপক্ষ। তবে অবশেষে খুলল শবরীমালা।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ মার্চ শেষ খুলেছিল শবরীমালা মন্দির। কেরালা সরকার ১৯ মার্চ থেকে ধর্মীয় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ফলে আর খোলেনি পাথানামথিট্টা জেলার পাহাড়চূড়ার মন্দির।