কিছুদিন আগেই দিল্লীর আদর্শ নগরে বাড়ির মেয়ের সঙ্গে প্রেম করায় ভিন্নধর্মী এক যুবককে পিটিয়ে মেরেছিল মেয়েটির পরিবার। এবার এমনই এক অনার কিলিংয়ের ঘটনা ঘটল বিজেপি শাসিত কর্ণাটকে। ১৮ বছরের মেয়েটির ‘অপরাধ’ ছিল দলিত ছেলের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া। আর তাঁকে ‘এত বড় অপরাধের’ কঠিন শাস্তি দিল পরিবার। বাবা ও খুড়তুতো দাদারা মিলে পিষে মারল মেয়েটিকে। ইতিমধ্যেই তরুণীকে খুনের অভিযোগে বাবা ও খুড়তুতো দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন আবার নাবালক।
কর্ণাটকের রামনগর জেলার বেটাথিল্লি গ্রামের ওই যুবতী বিকমের ছাত্রী ছিলেন। ২০ বছরের এক দলিত যুবকের সঙ্গে তাঁর প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। মেয়েটির পরিবার সেই সম্পর্কে মেনে নেয়নি। সম্পর্ক ভেঙে দেওযার জন্য মেয়েটিকে বুঝিয়েও কোনও লাভ হয়নি। শেষমেশ নিজের হাতেই মেয়েকে খুন করে বাবা। শুধু তাই নয়। খুনের বিষয়টা ধামাচাপা দিতে ছক কষেছিল পরিবার। ৯ অক্টোবর পুলিশে কাছে তরুণী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ করে পরিবার। পুলিশকে জানায়, তাঁর প্রেমিকই তরুণীকে খুন করেছে।
১০ অক্টোবর একটি নিকাশি নর্দমায় মেয়েটির দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানায়, বোল্ডার দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করা হয়েছে। প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহটি ওখানে ফেলে রাখা হয়েছিল। মেয়েটির প্রেমিককে গ্রেফতার করে জেরা করেও সন্দেহজনক কিছু না মেলায় তরুণীর বাবাকে জেরা শুরু করে পুলিশ। জেরায় খুনের কথা কবুল করে সে। জানায় মেয়েটির খুড়তুতো দুই ভাইও তাঁকে এই কাজে সাহায্য করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বেটাথিল্লি গ্রামের শেষপ্রান্তে ছোট জঙ্গল রয়েছে। সেখানেই মেয়েটিকে নিয়ে গিয়ে বোল্ডার দিয়ে মাথা থেঁতলে দেয় বাবা ও দুই ভাই। পরে গোটা দেহটিই পিষে দেয় তারা। পরে একটি নদর্মার মধ্যে দেহটি ফেলে মাটি চাপা দিয়ে দিয়েছিল।