প্রথা মেনে তিনশো বছরেরও বেশি সময় ধরে মা পদ্মা পূজিত হয়ে আসছেন মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের ধুসরীপাড়ায়। এবছর নদীর ভাঙনের কবলে গোটা এলাকা। হাজার বাড়ি ধস গেছে নদীর ভাঙনে। বাড়ির মতোই গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে পদ্মাদেবীর মন্দির। ফলে আদৌ পুজো হবে কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন গ্রামবাসীরা। তবে সমস্যা সমাধানও করেছেন তাঁরাই। তাঁদের উদ্যোগেই গ্রামেরই এক কোণে ফের তৈরি হচ্ছে মন্দির।
মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি মালদহ, বীরভূম এমনকী ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন গ্রামের মানুষও শামিল হয় ওই পুজোয়। চারদিন ধরে চলে উৎসব। আগের রীতি মেনে পুজো আয়োজনের সদিচ্ছা থাকলেও একদিকে করোনার প্রকোপ অন্যদিকে গঙ্গার ভয়াবহ তাণ্ডবে চলতি বছরে এলোমেলো হয়ে গিয়েছে সবটা।
পুজো কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা রাহুল সিংহ বলেন, “গঙ্গা ভাঙনে মা পদ্মার মন্দির গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে গেলেও আমরা গ্রামের এক কোণে নতুন করে দেবীর বেদি তৈরি করে পুজোর আয়োজন করেছি। করোনা আবহে মেলা না বসলেও এই পুজো ভাঙনের দুঃস্বপ্নের মধ্যেই কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে আমাদের।”