ঐতিহাসিক রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। গার্হস্থ্য হিংসার শিকার বিবাহিত মহিলাদের স্বস্তি দিয়ে শীর্ষ আদালতের তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, গার্হস্থ্য হিংসা আইন অনুসারে শ্বশুর বাড়িতে বসবাসের অধিকার রয়েছে বৌমার। তা ছাড়া, বিবাদের জেরে কোনও মহিলাকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হলেও ‘শেয়ার্ড হাউসহোল্ড’-এর জোরে তিনি সেখানে থাকার অধিকার দাবি করতে পারেন।
গার্হস্থ্য হিংসা আইনে যে ‘শেয়ার্ড হাউসহোল্ড’-এর কথা বলা হয়েছে, তা অনুযায়ী স্বামীর কোনও আত্মীয় বা যৌথ পরিবারের নামে বাড়ির মালিকানা থাকলেও অধিকার দাবি করতে পারেন মহিলা। তবে সেক্ষেত্রে শর্ত মূলত দু’টি। বিয়ের পর ওই বাড়িতে দীর্ঘ সময় ‘পরিবারের সদস্য হিসেবে কাটানোর’ ইতিহাস থাকতে হবে তাঁর। তা হলেই ‘শেয়ার্ড হাউসহোল্ড’ হিসেবে বিবেচিত হবে সেটি।
শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পর এ বার অন্তত নিজেদের অধিকারের আইনি লড়াইয়ের সুযোগ পাবেন তাঁরা। তবে সে সঙ্গেই আরও একটি মাইলফলক তৈরি করল এই রায়। ২০০৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ ‘শেয়ার্ড হাউসহোল্ড’-এর সংজ্ঞা হিসেবে স্বামীর কেনা বা ভাড়া করা বাড়ির কথা বলে।
দেড়শো পাতার এই রায়ে বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি আর সুভাষ রেড্ডি এবং বিচারপতি এম আর শাহের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘এ দেশে গার্হস্থ্য হিংসার ঘটনা আকছার ঘটে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এটি সম্পর্কে সবচেয়ে কম রিপোর্ট দায়ের হয়।’