বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের জেরে চলছে একটানা তুমুল বৃষ্টিপাত। আর তাতেই বানভাসি হায়দ্রাবাদ। বিপর্যস্ত মহারাষ্ট্রও। গত দু’দিন ধরে তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। তেলেঙ্গানায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হায়দ্রাবাদ। মঙ্গলবার রাত থেকেই হায়দ্রাবাদ ও সংলগ্ন এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত তেলেঙ্গানায় বৃষ্টির বলি হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।
অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রেও প্রবল বর্ষণ প্রাণ কেড়েছে কমপক্ষে ২৭ জনের। ১৪ জন সোলাপুর, ৯ জন সাংলি এবং ৪ জন পুণেতে মারা গিয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে কর্নাটকেও। এখানকার ইয়াদগির, রাইচূড়, বল্লারি, বিদার, বিজয়পুরা, বাগালকোট, বেলাগাভি, দক্ষিণ কন্নড়, উদাপি, উত্তর কন্নড়, গদগ, কোপ্পাল, হাভেরি এবং ধারওয়াদ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির দাপটে সব রাজ্যেই ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনুমান, অন্তত ৬ হাজার কোটি টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে শুধু তেলেঙ্গানাতেই। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকে। একে অতি ভারী বৃষ্টি, সেই সঙ্গে বাধ্য হয়ে বিভিন্ন বাঁধ থেকে জল ছাড়া হয়েছে, ফলে জলস্তর বেড়েছে নদীগুলিতে। প্লাবিত হয়েছে নিচু এলাকা।
মহারাষ্ট্রে মূলত পশ্চিম ভাগ এবং মারাঠাওড়ায় বৃষ্টির প্রভাব সবচেয়ে বেশি। পুনে, সোলাপুর, সাংলি, সাতারা এবং কোলাপুর— পশ্চিম মহারাষ্ট্রের এই জেলাগুলিতে গত ২ দিনে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। ২০ হাজার মানুষকে জলবন্দি অবস্থা থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে গিয়েছেন উদ্ধারকারী কর্মীরা।
মুম্বইতেও বর্ষণের জেরে জলমগ্ন হয়েছে অসংখ্য রাস্তাঘাট। ভারতীয় সেনাবাহিনী, বায়ুসেনা, নৌসেনা এবং মহারাষ্ট্রের সরকারি আধিকারিকদের যে কোনও পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করার জন্য তৈরি থাকতে বলেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হায়দ্রাবাদের। প্রায় সর্বত্রই জলমগ্ন রয়েছে রাস্তাঘাট। গত বুধবার জলের তোড়ে গাড়ির সঙ্গে মানুষকেও ভেসে যেতে দেখা গিয়েছে। অধিকাংশ পার্কিং লটে কার্যত হলে ডুবে গিয়ে গাড়ি।