প্রধানমন্ত্রীর অফিসে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা নিজেদের যেই সম্পত্তির হিসাব দিয়েছেন, তা থেকে নানা ইন্টারেস্টিং তথ্য উঠে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ একটি বাজাজ চেতকের মালিক। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইয়ের আছে ১৬ টি গরু, ১৩ টি মোষ ও ৬২৯৩ টি গাছ। অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী হরদীপ পুরির সুইৎজারল্যান্ডে একটি ফ্ল্যাট আছে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সম্পত্তির পরিমাণ কমেছে। কারণ তিনি যে শেয়ার কিনেছিলেন, বাজারের ওঠাপড়ায় সেগুলির দাম আগের তুলনায় অনেক কমে গিয়েছে।
এদিকে, নিজেকে ‘ফকির’ বলে দাবি করলেও দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ৩৬ লক্ষ টাকা। আগে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা। তিনি ব্যাঙ্কে জমা রেখেছিলেন ৩৩ কোটি টাকা। তা থেকে ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা সুদ পেয়েছেন। এছাড়া তাঁর চারটি সোনার আংটি আছে। তার মূল্য ১ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা।
এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী ৮ কোটি ৪৩ লক্ষ ১২৪ টাকার ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট কিনেছেন। লাইফ ইনসিওরেন্স পলিসি করেছেন ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৯৫৭ টাকার। কর বাঁচানোর জন্য ইনফ্রা বন্ড কিনেছেন ২০ হাজার টাকার। মোদীর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। তাঁর কোনও ঋণ নেই। তাঁর নামে কোনও গাড়িও কেনা হয়নি।
আগে অমিত শাহের সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৩২ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। এখন তা কমে হয়েছে ২৮ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা। তিনি যে শেয়ার কিনেছিলেন, তার দাম গত ৩১ মার্চ ১৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। অমিত শাহের স্ত্রী সোনাল শাহের সম্পত্তির পরিমাণ ন’কোটি টাকা থেকে কমে হয়েছে ৮ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা।
নির্মলা সীতারমনের সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা। তার মধ্যে আছে ৩১৫ গ্রাম সোনা এবং দু’কেজি রুপো। তেলেঙ্গানার দু’জায়গায় তাঁর বাড়ি আছে। তার মোট মূল্য ১ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা। এছাড়া তাঁর রয়েছে ২৮ হাজার ২০০ টাকা মূল্যের একটি বাজাজ চেতক স্কুটার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি একটি ১৯৯৫ সালের মডেলের মারুতি এইট হান্ড্রেড গাড়ির মালিক। তাঁর সম্পত্তির মোট মূল্য ৩ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা।