‘নানা জাতি, নানা ভাষা, নানা পরিধান’-এর মতো ভারতে নানা রাজনৈতিক দলের সমাহারও দেখা যায়। ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব বলেছিলেন, ‘যত মত তত পথ’। তাই ভিন্ন ভিন্ন মত হওয়ায় ভিন্ন ভিন্ন পথে চলতে গিয়ে দেশে প্রতি বছর রাজনৈতিক দলের সংখ্যাও বেড়ে হচ্ছে আগের চেয়ে দ্বিগুণ, তিনগুণ কিংবা আরও বেশি। আর এত দলকে প্রতীক দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। যার ফলস্বরূপ এবার বিহারে বিধানসভা ভোটে নানা বিচিত্র প্রতীক নিয়ে লড়ছে ছোট ছোট দলগুলি। ভোটের প্রতীক হিসাবে দেখা যাচ্ছে চপ্পল, জুতো, বেবি ওয়াকার, আঙুর, ক্যাপসিকাম, বেলুন এমনকি কড়াই-এর ছবিও।
বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতিনরাম মাঝির দল জোট বেঁধেছে জেডি ইউ-এর সঙ্গে। সেই দল লড়বে সাতটি আসনে। তাদের প্রতীক কড়াই। দলের মুখপাত্র দানিশ রিজওয়ান বলেন, তাঁরা আগে ভেবেছিলেন, দলের প্রতীক হবে টেলিফোন। কিন্তু পরে অনেকে ভাবলেন, ভোটার হয়তো সেই প্রতীককে ক্যালকুলেটর অথবা ট্রানজিস্টার ভাবতে পারেন। তাই তাঁরা শেষ পর্যন্ত কড়াই প্রতীক বেছে নিয়েছেন। এই প্রতীককে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য জিতিনরাম একদিন গয়া শহরে কড়াইতে রান্না করেছিলেন হালুয়া। সেই হালুয়া বিলোন হয়েছিল শহরের মানুষকে।
মহারাষ্ট্রের শাসক দল শিবসেনাও বিহারে ভোটে লড়াই করছে। এখানে তাদের প্রতীক বিস্কুট। পাপ্পু যাদবের দল ২০১৫ সালে বিহারের ভোটে হকি স্টিক প্রতীকে লড়াই করেছিল। এবার তাদের প্রতীক কাঁচি। জেএমএম লড়াই করছে লাঠি প্রতীক নিয়ে। লোক শক্তি পার্টি (এল)-এর প্রতীক ডিশ অ্যান্টেনা। এছাড়া আপের প্রতীক ঝাঁটা এবং সমাজবাদী পার্টির প্রতীক সাইকেল তো রয়েছেই। এদিকে জনহিত দল নামে একটি নতুন পার্টির প্রতীক হল ব্যাটসম্যান। রাষ্ট্রীয় জন জন পার্টি-র প্রতীক ব্যাট। ভারতীয় আম আওয়াম পার্টির প্রতীক ক্যাপসিকাম। রাষ্ট্রীয় সব জনশক্তি পার্টির চিহ্ন আঙুর।