করোনা সংক্রমণ হলেও শারদোৎসব নিয়ে আগে থেকেই ছাড় দিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার টাকিতে ইছামতিতে ঠাকুর ভাসান নিয়েও জটিলতা কাটল। আজ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, বরাবরের মতো এবছরও টাকিতে ভাসান হবে। প্রসঙ্গত, প্রতি বছর বিজয়া দশমীতে উত্তর ২৪ পরগনার টাকিতে ইছামতি নদীতে হয় দুর্গাপ্রতিমার ভাসান।
সেখানে নদীর ওপার থেকে বাংলাদেশের পুজো উদ্যোক্তারা প্রতিমা নিয়ে হাজির হন মাঝনদীতে। নৌকায় করে প্রতিমা নিয়ে সেখানে যান ভারতের দিকে উদ্যোক্তারাও। একযোগে ভাসান হয় দুই দেশের প্রতিমার। এই দৃশ্য দেখতে প্রতি বছর দশমীতে টাকিতে ভিড় করেন হাজার হাজার মানুষ। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন যৌথ ভাসান দেখতে। এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সেই ভাসান হবে কি না তা নিয়ে সংশয় ছিল।
বৃহস্পতিবার সেই আশঙ্কাই কাটালেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মমতা নবান্নে বলেন, বরাবরের মতো এবারও টাকিতে শান্তিপূর্ণভাবে ভাসান হবে। ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে স্থানীয় পুজো কমিটিগুলি ও পুলিশ। প্রসঙ্গত, পুজো কমিটিগুলিকে চলতি বেছে ৫০,০০০ টাকা করে দিয়েছে রাজ্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, চলতি বছর করোনা এবং লকডাউনের জোড়া ফলায় সমস্যায় পড়েছে পুজো কমিটিগুলি। সেই কথা চিন্তা করেই এমন জনকল্যাণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।