জুলাই মাসের শেষ দিকেও একবার বলেছিলেন। ফের একবার যুদ্ধ জিগির চাগিয়ে দিলেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। চীনের পিপল লিবারেশন আর্মিকে তাঁর বার্তা, উচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা রাখুন। যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হোন।
চীনের সরকারি সংবাদসংস্থা জিনহুয়া জানিয়েছে, যুদ্ধের প্রস্তুতির কথা বলেছেন শি। বুধবার তিনি গিয়েছিলেন শেনঝেন প্রদেশের স্পেশাল ইকোনমিক জোনের ৪০ বছরের পূর্তি অনুষ্ঠানে। ১৯৮০ সালে এই এসইজেড তৈরি করেছিল চীন সরকার। মূলত বিদেশি পুঁজি টানার জন্যই এই এসইজেড গড়ে উঠেছিল। ওই অনুষ্ঠানের পর দক্ষিণ চীনের গুয়ানডংয়ে সেনা বেস ক্যাম্পে পৌঁছে সেখানকার পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন এবং বার্তা দেন তিনি।
প্যাংগং লেক-সহ পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা জুড়ে চীনের চোখে চোখ ভারতের। চীনা ফৌজের পাশাপাশি লাদাখে শীত-যুদ্ধেরও প্রস্তুতি চালাচ্ছে ভারত। শীতেও সেনা মোতায়েন রাখার জন্য, প্রতিদিনই সীমান্তে রসদ পাঠানো হচ্ছে। তারই মধ্যে রফাসূত্র খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে দিল্লী ও বেজিং। মঙ্গলবারই সপ্তম দফার কোর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে দু’দেশের সেনার মধ্যে। সেখানে ভারতের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এপ্রিলের আগের অবস্থানে ফিরে যেতে হবে পিএলএ-কে। অর্থাৎ এপ্রিলের পর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে চীনা বাহিনী যতটা ঢুকে এসেছে, তাদের ততটাই ফিরে যেতে হবে। আর চীনা বাহিনী যতক্ষণ না সরছে, ততক্ষণ ভারতীয় সেনাও প্যাংগং লেকের দক্ষিণ পাড়ের পাহাড় চূড়াগুলির দখল ছাড়বে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতের কঠোর অবস্থানের জেরেই কি যুদ্ধের হুমকি দিয়ে রাখলেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং? নাকি সবটাই মনঃস্তত্ত্বাকি যুদ্ধের কৌশল? দ্বিধায় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।